আভা কি?

 আভা কি?

এটি একটি আলোকিত স্তর যা একজন ব্যক্তিকে অনেক ক্ষতি এবং নেতিবাচক এমন অনেক বিষয় থেকে রক্ষা করে, যা তার জীবনে দখল করতে পারে, যেমন জিন, জাদু,বদনজর,হাসাদ।


এই আভার স্তর মোটা ও শক্তিশালী হয় প্রচুর ইবাদত, কুরআন পাঠ, যিকির, তাসবীহ, নবীর উপর দুরুদ পড়া, অযু করা, সকালে ৭টি আজ‌ওয়া খাওয়া, তালুতে কোরান পাঠ করা এবং তা দিয়ে সারা শরীর মুছে ফেলা, পড়া পানি বা জমজমের পানি বা বৃষ্টির বা ঝরনা পানি দিয়ে গোসল করা। জাইতুন তেল মালিশ করা, আর জলপাই তেলে আছে নূর এবং শক্তি । কেননা জলপাই বরকতময় বৃক্ষ।


বদনজরের তীর, হাসাদ ও ঈর্ষা এবং জাদু যা অন্যদের কাছ থেকে আপনার উপর পতিত হয়, এসবের কারণে এই আভা দুর্বল হয়ে যায় ,এগুলো ধ্বংসাত্মক কীটের মতো বিকৃতি তৈরি করে,সব উলটপালট করে দেয়। এছাড়াও এটি হারাম কাজে লিপ্ত হ‌ওয়া দ্বারা,রাগ, বিরক্তি, হিংসা এবং সমস্ত নেতিবাচক বিষয় দ্বারা দুর্বল হয়ে পড়ে।


এটিও প্রতিয়মান হয়েছে যে এই আভা শব্দ, শ্রবণ এবং গন্ধ দ্বারাও প্রভাবিত হয়। যেমন কুরআনের আওয়াজ (বিশেষত ফজরের সালাতে কুরআন তিলাওয়াত,এতে আলোকিত ফেরেশতাদের উপস্থিত থাকে, দেখুন সূরা বনী ইসরা‌ঈল,আয়াত-৭৮) এবং কস্তুরীর সুঘ্রাণ এবং সেসব খাবার যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের জন্য সাজেস্টে করেছেন। যেমন খেজুর (যে ব্যক্তি সকালে খালি পেটে ৭টি খেজুর খাবে, সেদিন তার বিষ বা যাদুতে কোনো ক্ষতি হবে না) এবং অলিভ অয়েল (তেল খান এবং তাত মালিশ করুন, কারণ এটি একটি বরকতময় গাছ থেকে এসেছে)।


মানুষের সাথে সংমিশ্রণ‌ও আভাকে প্রভাবিত করে। খারাপ সমাবেশে হাঁটু গেড়ে বসে থাকা, গান গাওয়া এবং নাচা , এগুলো আপনার শক্তি কেড়ে নেবে। একজন আলোকিত ব্যক্তি এই সমাবেশগুলি সহ্য করতে পারে না কারণ সে দমবন্ধ এবং অস্বস্তি বোধ করে। অন্যদিকে আলোকিত ব্যক্তি শক্তিশালী হয় জিকির এবং কুরআন তিলাওয়াতের মজলিস দ্বারা ,যা আলোকিত ফেরেশতাদের দ্বারা বেষ্টিত থাকে।তাই আলোর শক্তি এই দুটি দলের মধ্যে বেশি থাকে।তাই এই আলোকিত আভাগুলোর যখন সম্মিলন ঘটে তখন আপনি শান্তি পান।তাই এমন কিছু লোক আছে যারা আলোকিত ব্যাক্তির সাথে কথা বলতে এবং তার সাথে থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে এবং অন্যরা যারা কয়েক মিনিটের জন্যও তার সাথে থাকতে পারে না


জিন, জাদু এবং বদনজর দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তির এই আভা প্রথমেই ভঙ্গ হয়েছে।তাই তাকে প্রথমে এই আভাকে ভালভাবে শক্তিশালী করতে হবে। যাতে আভার মধ্যে নেতিবাচক বিষয় প্রবেশ করার উন্মুক্ত দরজাগুলো বন্ধ হয়ে যায়।যেনো অন্য শয়তানেরা প্রবেশ করতে না পারে। এজন্য প্রতিদিন রুকইয়াহ করা তেল দোয়া পড়তে পড়তে পুরো শরীরে মালিশ করবে।যেনো নেতিবাচক দরজাগুলো বন্ধ হয়ে যায়।তেলের মধ্যে শরীর বন্ধ করার নিয়তে রুকইয়াহ করে তা মালিশ করা এবং পানিতে রুকইয়াহ করে তা পান করা ও গোসল করা।এতে করে দরজাগুলি আল্লাহর রহমতে বন্ধ হয়ে যাবে । তারপর শরীরে যেসব সমস্যা আছে এবং রোগী যেসব সমস্যা অনুভব করছে সে অনুযায়ী রুক‌ইয়াহ শোনবে। আল্লাহর তাওফিকে লেখা সম্পন্ন হলো। যা সঠিক তা আল্লাহর পক্ষ থেকে, এবং যা ভুল তা আমার এবং শয়তানের পক্ষ থেকে।


আরবী আর্টিকেল অবলম্বনে।

(আর্টিকেলটা পড়ে উপকারী মনে হলো,তাই আপনাদের জন্য অনুবাদ করলাম।)


নূরুল হাসান

৩০/৫/১৪৪৩ হিজরী




No comments:

Post a Comment