এই জিনদের জগৎ আমাদের নিকট এখনো ঝাপসা রয়ে গেছে। আমার এক পেশেন্ট ,উনি আমাকে যখনই কল দিতে চায়,আমার নাম্বার বিজি পায়।অথচ আমার নাম্বার এভাবে কখনই এতো বিজি থাকে না।
নিচের কথাগুলো লিখেছেন Abdullah Fahad ভাই:
আমি এই ব্যাপারটা খুব ভালভাবে নিশ্চিত হয়েছি। ইলেক্ট্রিক ডিভাইসের উপর জ্বীনদের যথেষ্ঠ নিয়ন্ত্রন আছে। নিজে সাক্ষী কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করি।
১) আমার পেশেন্ট, নিজের বাড়ির সি সি ক্যামেরায় দেখছেন একটি নির্দিষ্ট অবয়বের জ্বীন। কিন্তু ওই একই জায়গায় একই সময়ে খালি চোখে কিছুই দেখা যাচ্ছেনা, অথচ সিসি ক্যামেরায় তখনও জ্বীনের অবয়ব স্পষ্ট। ভিডিও টা আমার কাছে এখনো আছে।
২) একটি পুরাতন বাড়ি। আগাখানদের সাবেক মসজিদ ছিলো। অনেকগুলো সিসি ক্যামেরা লাগানো। মাগরিবের আযানের পরপরই নির্দিষ্ট কয়েকটি ঝাপসা হয়ে যায়। ফজরের আযানের সময় সব ঠিক। ওই সিসি ক্যামেরা গুলোর ঠিক সামনে প্রবল ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ফোর্সের সিগন্যাল পাওয়া যায়।
৩) পরিচিত এক রাক্বী ভাই পেশেন্টের রুকইয়াহ শেষে পেশেন্ট আর তার গার্ডিয়ানের সাথে ড্রইং রুমে আলাপ করছিলেন। পেশেন্টের আইফোন সামনে টেবিলের উপর রাখা ছিলো।এমতাবস্থায় পেশেন্টের আইফোন নিজে থেকেই লক খুলে যায়। এরপর নোটপ্যাড খুলে সেখানে লিখা উঠে "it was a good try Mr. (রাক্বীর নাম)।
৪) পেশেন্টদের ফোন অটো কল যায়, ম্যাসেজ যায়। এরুপ একটি ঘটনাও পেয়েছি।
৫) জ্বীনঘটিত অনেক সমস্যা মেডিকেল টেস্টে আসে না। এর পেছনে আমার একটা প্রবল ধারনা হচ্ছে, ওই ডিভাইস গুলোতে কিছু একটা ঘটানো হয় শয়তান গুলো দ্বারা। আল্লাহ সর্বাধিক ভাল জানেন।
৬) যেসব পেশেন্টের জ্বীন সহজে দুর্বল হতে চায় না। তাদেরকে এক দেড় মাস মোবাইল সহ ইলেকট্রিক ডিভাইস থেকে যতদুরে রাখবেন আর প্রকৃতির কাছে যত নিবেন, জ্বীন তত দ্রুত শরীরের নিয়ন্ত্রন হারাবে।
নীচের পোস্টটি লিখেছেন আহমেদ রবিন। এবং তাতে চিন্তার খোরাক আছে।
------------------------------------------------------------
ডাক্তারি বিদ্যার একটা বড় দুর্বলতা হল যন্ত্রের প্রতি নির্ভরতা। এই বিদ্যার অনেক সিদ্ধান্ত আসে যন্ত্র কি বলে তার উপর ভিত্তি করে। যিনি অসুস্থ তার কথাটা অনেক সময় গৌন হয়ে যায়। যেমন, অনেক সময় আমরা বলি, জ্বর জ্বর লাগছে বা জ্বর আসছে। কিন্তু থার্মোমিটারের কিছু পাওয়া যায় না। এ থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় জ্বর নেই। অথচ রোগি বলছেন উনার জ্বর। রোগীর সাক্ষ্য এখানে গৌন বিষয়।
এমন অনেক উদাহরণ দেয়া যাবে। আপনার নিজের ব্যাপারে চিন্তা করলেও এমন পাবেন। আপনি কোনো সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়েছেন, একগাদা টেস্ট করে কিছুই পাওয়া গেল না। ডাক্তার আপনাকে কী পরামর্শ দিবে? স্বান্তনা পুরস্কার হিসেবে রিলাক্সেসেশনের ট্যাবলেট দিতে পারে। অথচ আপনি জানেন, আপনি সুস্থ না, আপনার শরীর ভাল লাগে না। আপনি বেশি জোর করলে আপনাকে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠানো হতে পারে। সেখান থেকে খটমটে কিছু নাম আর ঘুমের ওষুধ নিয়ে আসবেন। খাবেন আর সারাদিন মাতালের মত ঝিমাবেন। মেডিসিন খেলে কিছুদিন অসুস্থতার "বোধ" টা কম থাকে। বন্ধ করে দিলে আবার ফিরে আসে। একসময় মেডিসিনে আর ধরে না। তখন ডোজ বাড়ে, এভাবে চলতে থাকে। (বলছি না এটাই হয়, বলছি যে এটাও হয়)
কয়েকজনের অভিজ্ঞতা শুনে আমার বিশ্বাস হচ্ছে যে, অদৃশ্য জগতের বাসিন্দাদের যন্ত্রের উপর প্রভাব খাটানোর ক্ষমতা রয়েছে। তারা কিভাবে প্রভাব খাটায় সেটা জানি না। ফিজিক্স যারা পড়েছেন তারা জানেন, বিদ্যুৎ চালিত প্রতিটা যন্ত্রের চারপাশে একটা ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি হয়। আরেকটা ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ফিল্ড/ম্যাগনেটিক ফিল্ড কাছাকাছি আসলে দুইটারই পরস্পরের উপর পরস্পরের প্রভাব পড়ে। দুইটা চুম্বক কাছাকাছি আসলে হয় আকর্ষন করবে নাহয় বিকর্ষন করবে- এইটাইপের আর কি।
শয়তানের দল এই কাজটা করে মানুষকে পেরেশানি দেয়ার জন্য, আর কিছু না। আপনি ডাক্তার থেকে ডাক্তারে দৌড়াবেন, একের পর এক মেডিসিন খেতেই থাকবেন, টাকা পয়সা খরচ করে নিঃস্ব হতে থাকবেন। এক সময় "আমার উপরেই কেন এত বিপদ" এই টাইপের চিন্তা থেকে ঈমান হারাও হতে পারে। শয়তান ১০০% সফল তখন।
কাজেই ডাক্তারী বিদ্যাকে সুপ্রীম মনে করার কোনো কারণ নেই। এই বিদ্যায় শিক্ষিতরা যা বলে তাকেই চূড়ান্ত মনে করার দরকার নেই। বরং মেডিকেল শিক্ষার্থী এবং ডাক্তার-নার্সদের উচিত রুকইয়াহ, হিজামা নিয়েও সম্যক জ্ঞান অর্জন করা। কারণ পুরো ডাক্তারি বিদ্যায় স্পিরিচুয়াল হিলিংকে স্থান দেয়া হয় নি (আমার জানামতে)। অথচ কারও যদি স্পিরিচুয়াল হিলিং দরকার হয় তাকে সেটাই দিতে হবে। অন্য কিছুতে কাজ হবে না।
[এই পোস্ট থেকে কেউ আবার এই মানে বের করবেন না যে, ডাক্তারের কাছে যেতে মানা করছি।]
No comments:
Post a Comment