যে ওষুধের কথা ডাক্তার বলে না!

 যে ওষুধের কথা  ডাক্তার বলে না!


ইমাম আল-হাকিম আন-নিশাপূরী (রাহিমাহুল্লাহ) ছিলেন একজন বড়ো মুহাদ্দিস। একবার তাঁর মারাত্মক একটি অসুখ হয়েছিলো। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা করেও কোনো সুফল পাচ্ছিলেন না।


শেষ পর্যন্ত নিরুপায় হয়ে একদিন ইমাম আবু উসমান আস-সাবুনীকে (রাহিমাহুল্লাহ) অনুরোধ করেন তাঁর জন্য জুমুয়ার দিন দু’আ করতে।

ইমাম আবু উসমান আস-সাবুনী (রাহিমাহুল্লাহ) জুমু’আর দিন ইমাম আল-হাকিমের (রাহিমাহুল্লাহ) জন্য দু’আ করেন। উপস্থিত মুসল্লিরা সবাই ‘আমিন-আমিন’ বলে।


পরের সপ্তাহে একজন মহিলা একটি চিঠি নিয়ে উপস্থিত হন। তিনি আগের সপ্তাহে ঐ দু’আয় উপস্থিত ছিলেন। তিনিও আল-হাকিমের (রাহিমাহুল্লাহ) জন্য দু’আ করেছিলেন।


ঐ রাতে তিনি স্বপ্নে রাসূলুল্লাহকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দেখেন! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বলেন,

“আল-হাকিমকে গিয়ে বলো, মুসলিমদের মধ্যে পানি সরবরাহ করতে।”


মহিলা স্বপ্নের কথা আল-হাকিমকে (রাহিমাহুল্লাহ) লিখে দেন। আল-হাকিম (রাহিমাহুল্লাহ) আর দেরী করলেন না। তিনি তৎক্ষণাৎ পানি সংগ্রহ করে মুসলিমদের মধ্যে ফ্রি-তে বিতরণ করেন।


বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, এই ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যে

তিনি সুস্থ হয়ে উঠেন, তাঁর অসুখ একেবারেই কমে যায়!


কোন এমন ওষুধ আল-হাকিমের (রাহিমাহুল্লাহ) অসুখ কমালো? সেটা হলো- সাদকা।


শায়খ আলী জাবের আল-ফীফী (হাফিজাহুল্লাহ) তাঁর বিখ্যাত বই ‘লি আন্নাকাল্লাহ’ (বাংলায় যা ‘তিনিই আমার রব’ নামে অনূদিত) –তে একটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন।


তাঁর এক বন্ধুর গাড়ির নিচে এক ছেলে চাপা পড়ে। সে গাড়িটি থামিয়ে ছেলেটিকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে ছেলেটির বাবা ও দাদা উপস্থিত হোন। ডাক্তাররা জানায়, ছেলেটির বাঁচার সম্ভাবনা মাত্র ২০%। তিনি মনে মনে বেশ ব্যথিত হোন এই ভেবে যে, তাঁর জন্য একটি ছেলে মারা যাবে!


তিনি তাঁর পরিচিত একজন শায়খকে ফোন করে জিজ্ঞেস করেন, এখন কী করা যায়? সেই শায়খ বলেন,

“ছেলেটির সুস্থতা কামনা করে একটি পশু কুরবানি দাও।”


তিনি তাই করলেন। সপ্তাহখানেক পর তিনি যখন ছেলেকে দেখতে যান, দেখতে পেলেন ছেলেটি সুস্থ হয়ে গেছে!


ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন:

“বিপদের সময় সাদকার প্রভাব এতো বেশি যে, সেটা কল্পনার বাইরে। এমনকি কোনো ফাসিক, যালিম কিংবা কাফিরকেও সাদকা করা হয়, সেটা থেকেও ফল পাওয়া যায়।”


ইমাম আন-নববী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,

“যখন ওষুধ কোনো কাজ করতে পারে না, তখন সাদকা তার কার্যকারিতা শুরু করে দেয়। ওষুধ দ্বারা যে রোগের আরোগ্য হয় না, সাদকার মাধ্যমে অনেক সময় দেখা গেছে সেই রোগের আরোগ্য হয়। যাদের বুঝ আছে, তারা এই বিষয়টি অস্বীকার করেন না।”


©


যে দোয়াটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেদের শিখতে বলেছেন এবং অন্যদের শেখাতে বলেছেন—

 যে দোয়াটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেদের শিখতে বলেছেন এবং অন্যদের শেখাতে বলেছেন—


اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ فِعْلَ الْخَيْرَاتِ وَتَرْكَ الْمُنْكَرَاتِ وَحُبَّ الْمَسَاكِينِ وَأَنْ تَغْفِرَ لِي وَتَرْحَمَنِي وَإِذَا أَرَدْتَ فِتْنَةَ قَوْمٍ فَتَوَفَّنِي غَيْرَ مَفْتُونٍ، أَسْأَلُكَ حُبَّكَ وَحُبَّ مَنْ يُحِبُّكَ، وَحُبَّ عَمَلٍ يُقَرِّبُ إِلَى حُبِّكَ


“হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে নেক কাজ করার তাওফিক চাই, খারাপ কাজ ছেড়ে দেয়ার তাওফিক চাই, অভাবীদের জন্য ভালোবাসা চাই, আপনি যেন আমাকে ক্ষমা করেন ও আমার প্রতি রহম করেন। যখন আপনি কোন কাওমকে ফিতনা তথা পরীক্ষায় ফেলতে চান, তখন আমাকে পরীক্ষায় না ফেলে মৃত্যু দিয়ে দিন। আমি আপনার কাছে আপনার ভালোবাসা চাই, আপনাকে যে ভালোবাসে তার ভালবাসা চাই এবং এমন আমলের ভালোবাসা চাই যা আমাকে আপনার ভালোবাসার নিকটবর্তী করবে।”


রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: নিশ্চয় এ বাক্যগুলো সত্য, তোমরা নিজেরা এগুলো শিখ ও অন্যদেরকে শিক্ষা দাও”।


তিরমিযি, হাদিসের মান সহিহ।

ইলেকট্রিক ডিভাইসের উপর নিয়ন্ত্রণ

 এই জিনদের জগৎ আমাদের নিকট এখনো ঝাপসা রয়ে গেছে। আমার এক পেশেন্ট ,উনি আমাকে যখন‌ই কল দিতে চায়,আমার নাম্বার বিজি পায়।অথচ আমার নাম্বার এভাবে কখন‌ই এতো বিজি থাকে না।

নিচের কথাগুলো লিখেছেন Abdullah Fahad ভাই:


আমি এই ব্যাপারটা খুব ভালভাবে নিশ্চিত হয়েছি। ইলেক্ট্রিক ডিভাইসের উপর জ্বীনদের যথেষ্ঠ নিয়ন্ত্রন আছে। নিজে সাক্ষী কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করি।


১) আমার পেশেন্ট, নিজের বাড়ির সি সি ক্যামেরায় দেখছেন একটি নির্দিষ্ট অবয়বের জ্বীন। কিন্তু ওই একই জায়গায় একই সময়ে খালি চোখে কিছুই দেখা যাচ্ছেনা, অথচ সিসি ক্যামেরায় তখনও জ্বীনের অবয়ব স্পষ্ট। ভিডিও টা আমার কাছে এখনো আছে।


২) একটি পুরাতন বাড়ি। আগাখানদের সাবেক মসজিদ ছিলো। অনেকগুলো সিসি ক্যামেরা লাগানো। মাগরিবের আযানের পরপরই নির্দিষ্ট কয়েকটি ঝাপসা হয়ে যায়। ফজরের আযানের সময় সব ঠিক। ওই সিসি ক্যামেরা গুলোর ঠিক সামনে প্রবল ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ফোর্সের সিগন্যাল পাওয়া যায়।


৩) পরিচিত এক রাক্বী ভাই পেশেন্টের রুকইয়াহ শেষে পেশেন্ট আর তার গার্ডিয়ানের সাথে ড্রইং রুমে আলাপ করছিলেন। পেশেন্টের আইফোন সামনে টেবিলের উপর রাখা ছিলো।এমতাবস্থায় পেশেন্টের আইফোন নিজে থেকেই লক খুলে যায়। এরপর নোটপ্যাড খুলে সেখানে লিখা উঠে "it was a good try Mr. (রাক্বীর নাম)।


৪) পেশেন্টদের ফোন অটো কল যায়, ম্যাসেজ যায়। এরুপ একটি ঘটনাও পেয়েছি।


৫) জ্বীনঘটিত অনেক সমস্যা মেডিকেল টেস্টে আসে না। এর পেছনে আমার একটা প্রবল ধারনা হচ্ছে, ওই ডিভাইস গুলোতে কিছু একটা ঘটানো হয় শয়তান গুলো দ্বারা। আল্লাহ সর্বাধিক ভাল জানেন।


৬) যেসব পেশেন্টের জ্বীন সহজে দুর্বল হতে চায় না। তাদেরকে এক দেড় মাস মোবাইল সহ ইলেকট্রিক ডিভাইস থেকে যতদুরে রাখবেন আর প্রকৃতির কাছে যত নিবেন, জ্বীন তত দ্রুত শরীরের নিয়ন্ত্রন হারাবে।


নীচের পোস্টটি লিখেছেন আহমেদ রবিন। এবং তাতে চিন্তার খোরাক আছে।


------------------------------------------------------------


ডাক্তারি বিদ্যার একটা বড় দুর্বলতা হল যন্ত্রের প্রতি নির্ভরতা। এই বিদ্যার অনেক সিদ্ধান্ত আসে যন্ত্র কি বলে তার উপর ভিত্তি করে। যিনি অসুস্থ তার কথাটা অনেক সময় গৌন হয়ে যায়। যেমন, অনেক সময় আমরা বলি, জ্বর জ্বর লাগছে বা জ্বর আসছে। কিন্তু থার্মোমিটারের কিছু পাওয়া যায় না। এ থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় জ্বর নেই। অথচ রোগি বলছেন উনার জ্বর। রোগীর সাক্ষ্য এখানে গৌন বিষয়।


এমন অনেক উদাহরণ দেয়া যাবে। আপনার নিজের ব্যাপারে চিন্তা করলেও এমন পাবেন। আপনি কোনো সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়েছেন, একগাদা টেস্ট করে কিছুই পাওয়া গেল না। ডাক্তার আপনাকে কী পরামর্শ দিবে? স্বান্তনা পুরস্কার হিসেবে রিলাক্সেসেশনের ট্যাবলেট দিতে পারে। অথচ আপনি জানেন, আপনি সুস্থ না, আপনার শরীর ভাল লাগে না। আপনি বেশি জোর করলে আপনাকে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠানো হতে পারে। সেখান থেকে খটমটে কিছু নাম আর ঘুমের ওষুধ নিয়ে আসবেন। খাবেন আর সারাদিন মাতালের মত ঝিমাবেন। মেডিসিন খেলে কিছুদিন অসুস্থতার "বোধ" টা কম থাকে। বন্ধ করে দিলে আবার ফিরে আসে। একসময় মেডিসিনে আর ধরে না। তখন ডোজ বাড়ে, এভাবে চলতে থাকে। (বলছি না এটাই হয়, বলছি যে এটাও হয়)


কয়েকজনের অভিজ্ঞতা শুনে আমার বিশ্বাস হচ্ছে যে, অদৃশ্য জগতের বাসিন্দাদের যন্ত্রের উপর প্রভাব খাটানোর ক্ষমতা রয়েছে। তারা কিভাবে প্রভাব খাটায় সেটা জানি না। ফিজিক্স যারা পড়েছেন তারা জানেন, বিদ্যুৎ চালিত প্রতিটা যন্ত্রের চারপাশে একটা ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি হয়। আরেকটা ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ফিল্ড/ম্যাগনেটিক ফিল্ড কাছাকাছি আসলে দুইটারই পরস্পরের উপর পরস্পরের প্রভাব পড়ে। দুইটা চুম্বক কাছাকাছি আসলে হয় আকর্ষন করবে নাহয় বিকর্ষন করবে- এইটাইপের আর কি।


শয়তানের দল এই কাজটা করে মানুষকে পেরেশানি দেয়ার জন্য, আর কিছু না। আপনি ডাক্তার থেকে ডাক্তারে দৌড়াবেন, একের পর এক মেডিসিন খেতেই থাকবেন, টাকা পয়সা খরচ করে নিঃস্ব হতে থাকবেন। এক সময় "আমার উপরেই কেন এত বিপদ" এই টাইপের চিন্তা থেকে ঈমান হারাও হতে পারে। শয়তান ১০০% সফল তখন।


কাজেই ডাক্তারী বিদ্যাকে সুপ্রীম মনে করার কোনো কারণ নেই। এই বিদ্যায় শিক্ষিতরা যা বলে তাকেই চূড়ান্ত মনে করার দরকার নেই। বরং মেডিকেল শিক্ষার্থী এবং ডাক্তার-নার্সদের উচিত রুকইয়াহ, হিজামা নিয়েও সম্যক জ্ঞান অর্জন করা। কারণ পুরো ডাক্তারি বিদ্যায় স্পিরিচুয়াল হিলিংকে স্থান দেয়া হয় নি (আমার জানামতে)। অথচ কারও যদি স্পিরিচুয়াল হিলিং দরকার হয় তাকে সেটাই দিতে হবে। অন্য কিছুতে কাজ হবে না।


[এই পোস্ট থেকে কেউ আবার এই মানে বের করবেন না যে, ডাক্তারের কাছে যেতে মানা করছি।]

বদনজর

 Farhat Bhai

শুনলে হয়তো অনেকে হাসবেন....

কিন্তু একটা জ্বিন নিশ্চিত করেছে যে তারা কারো উপর বদনজর দেয় এভাবে লেজার মেরে। ঐ লেজারে পেশেন্টের চামড়া পুড়ে ফেলে না কিন্তু জ্বালাপোড়া অনুভূতি হয় ও অনেকের ফোসকা পরে। বিশেষ করে জ্বিনের রোগীদের এবং যারা জ্বিনের রোগীকে রুকইয়াহ করে থাকে তাঁর উপর লেজার মারে।

এটাও জেনেছি এরকম সময় নাকি আয়াতুল কুরসীই সবচেয়ে বড় অস্ত্র।

এসব তথ্যের ব্যাপারে আল্লাহ ভালো জানেন









কিছু জ্বীন আছে যারা ক্যান্সারের কারণ।


কিছু জ্বীন আছে যারা বিভিন্ন রোগব্যাধি এবং ক্যান্সারের কারণ।



একজন মহিলার ডান স্তনে ক্যান্সার ছিল, এবং ডাক্তাররা সিদ্ধান্ত নেন যে এই অংশটি অপসারণ করা উচিত। বাস্তবেই এটি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়েছিল। তারপর, অল্প সময় পরে, তার বাম স্তনে ব্যথা শুরু হয়। ডাক্তাররা ডাক্তারি পরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেন যে, এটি ক্যান্সার এবং এই (অবশিষ্ট থাকা )অন্য স্তনের ক্যান্সার অবশ্যই নির্মূল করা উচিত।তখন তার পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং কোরআনের চিকিৎসার আশ্রয় নেয়। তার কাছে কুরআন তিলাওয়াত করার পর জ্বীন তার মুখে কথা বলে এবং আমাদের বলে যে, সেই তার এই রোগের কারণ ছিল । এমনকি এই পরিকল্পনাও করেছিলো যে, হাঁটুকেও স্তনের মতো এক‌ইভাবে আক্রান্ত করবে।

  এরপর কুরআন দ্বারা চিকিৎসার মাধ্যমে জ্বিন এই মহিলাকে ছেড়ে বেরিয়ে যায় এবং মহিলার ব্যথাও চলে যায়। পুনরায় তারা পরীক্ষা করে দেখেছেন যে,মহিলা শতভাগ নিরাপদ ও সুস্থ।


মাজমুউল ফাত‌ওয়া (৮/৩৬৪)

- শায়খ আব্দুল আযীয বিন বায রাহিমাহুল্লাহ




من أسباب مرض السرطان والأمراض

هناك من الجن من يكون سبب في مرض السرطان


إمرأة أصيبت بمرض السرطان في ثديها الأيمن وأقرَّ الأطباء ضرورة استئصال هاذا الجزء وبالفعل تم استئصاله بالجراحة ثم بعد قليل عاودها الألم في ثديها الأيسر وبإجراء التحاليل الطبية اقر الأطباء أنه مرض السرطان ولابد من استئصاله هو الآخر ففزع أهلها ولجؤا الي العلاج بالقرآن ،وبعد القراءة عليها نطق الجن علي لسانها وأخبرنا أنه هو الذي سبب لها هاذا المرض وان كان مخططا ان يصيب الركبة بمثل ما أصاب الثديين وبالعلاج القرآني خرج الجن وترك هاذه السيدة وزال الألم عن السيدة وبإعادة التحاليل وجدوا أنها سليمة مئة بالمائة.


📚مجموع فتاوي ومقالات متنوعة لسماحة الشيخ عبدالعزيز بن باز رحمه الله (8/364)





যারতার কাছে সমস্যার কথা উল্লেখ করবেন না।

 "আপনার যেকোন প্রয়োজনের কথা মানুষের কাছে না বলে সবার আগে আল্লাহকে বলুন। 

অন্য কারো মুখাপেক্ষী হওয়ার আগে আল্লাহর মুখাপেক্ষী হোন।


রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,❝যে ব্যক্তি কষ্টে পতিত হয় এবং মানুষের কাছে অভিযোগ করে, তার প্রয়োজন কখনোই পূরণ হবে না। যে ব্যক্তি কোন অসুবিধায় পতিত হয় এবং আল্লাহর কাছে অভিযোগ করে,আল্লাহ্ ﷻ আগে কিংবা পরে তার প্রয়োজন পূরণ করে দিবেন।❞ [সুনানে তিরমিযি]"

তার অর্থ আবার এই নয় যে আপনি অসুস্থ হলে বা প্যারানরমাল সমস্যায় আক্রান্ত হলে ডাক্তার বা রাকীর দ্বারস্থ না হয়ে সমস্যাগুলো নিজের মধ্যে জিইয়ে রাখবেন।

যারতার কাছে সমস্যার কথা উল্লেখ করতে নিষেধ করা হয়েছে। আল্লাহর উপর ভরসা রেখে ডাক্তার বা রাকীর দ্বারস্থ হ‌ওয়া তাক‌ওয়া তাওয়াক্কুলের পরিপন্থী নয়।

সন্তানকে ধ্বংস করবেন না

 আপনি রাগের মাথায় আপনার সন্তানকে বললেন.. মর তুই! ফেরেশতারা তখন বললো.. আমিন।


আপনার সন্তানকে বললেন.. তোর ভবিষ্যত অন্ধকার। ফেরেশতারা তখন বললো.. আমিন।


আপনি রাগের মাথায় আপনার সন্তানকে বললেন.. তোর মুখ আমি দেখতে চাই না। ফেরেশতারা তখন বললো.. আমিন।


আপনি রাগের মাথায় মেয়েকে বললেন.. জীবনেও স্বামীর ভাত খেতে পারবি না। ফেরেশতারা তখন বললো.. আমিন।


আপনি রাগের সময় সন্তানকে বললেন.. মরার সময় পানি পাবি না। ফেরেশতারা তখনও বললো.. আমিন।


আচ্ছা আপনি তো সেই মানুষ তাই না— যে নিজের সন্তানকে নিজের জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসেন?


আপনি তো সেই মানুষ তাই না— যার থেকে কেউ বেশি আন্তরিক দোয়া করতে পারবে না!


আপনি কি জানেন.. ফেরেশতারা প্রতিটা কথার পরে আমিন আমিন বলেন!


আপনি কি জানেন— মা-বাবার রাগের মাথায় বলা প্রতিটা কথা আল্লাহ তাআলার দরবারে কবুল হয়। তো আপনার কলিজার টুকরা সন্তানের ক্ষতি আপনি নিজেই করছেন না তো?


আপনার সন্তান অন্যায় করছে.. মা-বাবা হিসেবে আপনি এই ভাষা ব্যবহার না করে এগুলো বলুন..


আল্লাহ তোকে হেদায়েত দিন। আমার জন্য চক্ষু শীতলকারী বানান। অথবা বলতে পারেন—

আল্লাহ তোকে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর মত বানান। আল্লাহ তোকে আয়েশা রা. এর মত বানান।


সবার সন্তান সবার কলিজার টুকরা। অতএব সন্তানকে বদদোয়া দেওয়া মানে নিজের চোখে নিজে বালি দিয়ে নষ্ট করে ফেলা!


আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে বুঝার ও আমল করার তাওফিক দান করুন (আমিন)।

©️





সাদাকার গল্প "মানুষের মনে হাসি ফোটাও, তাদের কষ্টগুলো দূর করে দাও, আর এসবের প্রতিদান চাও মহানুভব রব আল্লাহর কাছে।"

 সাদাকার গল্প 

"মানুষের মনে হাসি ফোটাও, তাদের কষ্টগুলো দূর করে দাও, আর এসবের প্রতিদান চাও মহানুভব রব আল্লাহর কাছে।"


গল্পটা সৌদি আরবের অনন্য এক দানশীল ব্যক্তির। তাঁর নাম শেখ সুলায়মান আল রাজী। দু'হাতে তাঁর দানের কথা কিংবদন্তি হয়ে আছে। বিশ্বের বড় ইসলামি ব্যাংক ও বড় খেজুর বাগানের মালিক তিনি। পুরো রমজান মাসে এ বাগানের খেজুর দিয়েই মক্কা মদিনার রোজাদারদের ইফতার করানো হয়।


পরিশ্রম কীভাবে একেবারে শূন্য থেকে এ মানুষটিকে মাল্টি বিলিয়নিয়ার তথা বিশ্বের ১২০তম ধনী মানুষে পরিণত করেছে এবং দু'হাতে দান করে তিনি কেমন আনন্দ পেতেন সেটা অনুপম আশা জাগানিয়া এক গল্প। আসুন সে গল্পটাই আমরা শুনি!


সুলায়মান আল রাজী ছিলেন সৌদি এক অতি দরিদ্র পরিবারের সন্তান। শৈশবে স্কুলে পড়ার সময় এক শিক্ষা সফরে যেতে পরিবারের কাছে কান্নাকাটি করেও এক রিয়াল জোগাড় করতে পারেননি। কারন এক রিয়াল দেয়ার মতো সামর্থ্য তাঁর পরিবারের তখন ছিল না। শিক্ষা সফরের একদিন আগে ফিলিস্তিনি ক্লাশ শিক্ষক স্কুলে প্রশ্নের সঠিক জবাব দেয়ায় তাঁকে এক রিয়াল উপহার দেন। মুহূর্তেই তাঁর প্রবল কান্না পরম আনন্দে পরিণত হয়। তিনি সহপাঠীদের সাথে শিক্ষা সফরে যেতে সুযোগ পান।


কর্মজীবনে যোগদানের জন্য ৯ বছর বয়সে তিনি স্কুল ছেড়ে দেন। প্রথমেই বন্দরে মাল ওঠানোনামানো অর্থাৎ পোর্টারের কাজ করেন। এরপর দিনমজুর, শ্রমিক,বাবুর্চি, ওয়েটার, দোকান কর্মচারীর কাজ করেন। উপার্জনের অর্থ দিয়ে মুদি দোকান দেন। বিয়ের খরচের জন্য দোকান বিক্রি করে দেন। তারপর ভাইয়ের সাথে একত্রে ব্যবসা শুরু করেন। ১৯৭০ সালে ভাইয়ের কাছ থেকে আলাদা হয়ে একা কারেন্সি ট্রেডিং (মুদ্রা বিনিময়) ব্যবসা শুরু করেন। প্রথমে সৌদি আরবে ৩০টি শাখা এবং পরে মিশর,লেবানন ও জিসিসি দেশগুলোতেও শাখা খুলেন। বদলে যায় ভাগ্যের চাকা। প্রতিষ্ঠা করেন আল রাজী ব্যাংক ও আল রাজী ইসলামিক গ্রুপ। অন্য আরো ব্যবসা।


বিশ্বের সবচেয়ে বড় খেজুর বাগানটি তাঁর। এ বাগানে ২ লক্ষ খেজুর গাছ আছে। মধ্য সৌদি আরবের আল কাসিম প্রদেশে অবস্থিত এ বাগানের আয়তন প্রায় সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর। এ বাগানে ৪৫ ধরনের খেজুর আবাদ হয়। ১৯৯০ সালে এখানে গম এবং তরমুজও করা হতো। কিন্তু ১৯৯৩ সালের পর শুধু খেজুর ফলানো হয়। বাগানটি গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্হান করে নেয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে শেখ সুলায়মান আল রাজী এ বাগানটি আল্লাহর রাস্তায় পুরোপুরি ওয়াকফ করে দেন। রমজানে কা'বা শরীফ ও মসজিদে নববী এবং অন্য মসজিদসমূহে এ বাগানের খেজুর দিয়েই ইফতার করানো হয়। মুসলিম দেশগুলোতে এ বাগানের খেজুরই উপহার হিসেবে পাঠানো হয়। এর আয় ব্যয় কর হয় দরিদ্রদের সহায়তায়।


ফোর্বস সাময়িকীর মতে শেখ সুলায়মান আল রাজীপৃথিবীর ১২০তম ধনী ব্যক্তি। সৌদি রয়েল ফ্যামিলির বাইরে নিজের উপার্জনে একমাত্র কোরপোরেট বিলিয়নিয়ার। তাঁর সম্পদের পরিমান ৭.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ২০ জন মানবিক সহায়তা প্রদানকারীর মধ্যে অন্যতম। আল রাজী ব্যাংকের ২০ শতাংশ অর্থ সৌদি দরিদ্র শিশুদের জন্য ব্যয় করা হয়। তিনি স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মসজিদ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। তিনি তাঁর সমুদয় সম্পদের দুই তৃতীয়াংশ চ্যারিটির জন্য দান করেছেন। বাকিটা ছেলেমেয়েদের মধ্যে বন্টন করে দেন।


মোটামুটি ধনী হওয়ার পরই সুলায়মান আল রাজীর মনে পড়ে তাঁর সেই শিক্ষকের কথা। তিনি তাঁকে খুঁজে বের করেন। সাক্ষাৎ হলে তিনি দেখতে পান তাঁর ফিলিস্তিনি শিক্ষক কর্মহীন এবং দারিদ্রতার মধ্যে কষ্টে জীবন যাপন করছেন। তিনি তাঁকে তার পরিচয় দেন এবং শৈশবে এক রিয়ালের কথা স্মরণ করিয়ে দিলে শিক্ষক তাঁকে চিনতে পারেন। তিনি শিক্ষককে গাড়িতে উঠান এবং একটি বাগান বাড়িতে নিয়ে যান। তাকে গাড়িসহ বাগান বাড়ি উপহার দেন। সাথে দেন সারাজীবন চলার জন্য শিক্ষককে খরচের টাকা। আবেগ আপ্লুত শিক্ষক তাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। কিন্তু সুলায়মান আল রাজী তাঁর শিক্ষককে বলেন, "আপনি আজ খুশীতে কাঁদছেন। তারচেয়েও বেশি খুশি হয়েছিলাম আমি সেদিন, যেদিন আপনার কাছ থেকে এক রিয়াল উপহার পেয়েছিলাম। আমার জন্য সেই উপহারটা ছিল অতুলনীয়। সেদিন আপনি বলেছিলেন, "মানুষের মনে হাসি ফোটাও, তাদের কষ্টগুলো দূর করে দাও, আর এসবের প্রতিদান চাও মহানুভব রব আল্লাহর কাছে। সেটা ঠিকই বলেছিলেন। মহান আল্লাহ আমাকে ধন সম্পদ দিয়ে ভরে দিয়েছেন। আর হালাল পথেই এসেছে এ সম্পদ।"


বয়স এখন ৯৭ বছর। জীবন সায়াহ্নে সুলায়মান আল রাজী তাঁর সম্পদ পরিবার ও আল্লাহর রাস্তায় বন্টন করে দেয়ার পর এক সাক্ষাৎকারে বলেন, "আমি এখন মুক্ত। মুক্ত আমি পাখির মতোই। নিজেকে খুব হালকা লাগছে। মহান আল্লাহর ডাকের অপেক্ষায় আছি। মহান রবের মেহমান হতে পারাটাই সৌভাগ্যের"!


শেখ সুলায়মন আল রাজী সৌদি আরবে খুবই সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। দানশীলতা ও দেশের উন্নয়নে অবদানের জন্য তাঁকে সৌদি আরবের বড় পুরস্কার "বাদশা ফয়সাল" পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।


সংগৃহীত।






"জিন রক্তের সাথে মিশে গেছে।"

 "জিন রক্তের সাথে মিশে গেছে।"


আমাদের কাছে আগত বহু পেশেন্টের মুখ থেকে আমরা এই কথাটি মাঝে মাঝেই শুনি।

উপরোক্ত কথাটির দুটি অর্থ হতে পারে।একটা অর্থ হলো , মাছ যেভাবে পানির সাথে মিশে থাকে ,জিন সেভাবে রক্তের সাথে মিশে গেছে, এই অর্থে বললে ঠিক আছে । আরেকটা অর্থ হলো, দুধ যেভাবে পানির সাথে মিশে যায়, সেভাবে মিশে গেছে,এই অর্থে বললে বিষয়টা একেবারেই ভুল।আর আমাদের দেশের অনেক মানুষ এই ভুল অর্থতেই বলে। এই বিশ্বাস মনে থাকাটা সুস্থতার জন্য অন্তরায় ।



কারণ বাস্তবে জিন কখনো মানুষের রক্তের সাথে দুধ পানির মতো মিশে একাকার হতে পারবে না। জিন তার আলাদা দেহ নিয়ে মানুষের শরীরে অবস্থান করে ও রক্তনালী দিয়ে ঘুরে বেড়ায়। যেভাবে মাছ পানিতে তার আলাদা শরীর নিয়ে ঘুরে বেড়ায়।

জিন মানুষের পুরো শরীরের রক্তনালীগুলোতে চলতে পারে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন

إِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِي مِنَ ابْنِ آدَمَ مَجْرَى الدَّمِ ‏

মানুষের শরীরের রক্তধারায় শয়তান চলাফেরা করে। বুখারী , হাদিস নং ১৯১১


আর এভাবে জিন তার সৃষ্ট সমস্যা গুলো রক্তের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়।দেহে নানান রকম রোগব্যাধি সৃষ্টি করে।


তাহলে এই ভুল অর্থটা এ দেশে কারা ছড়িয়েছে?

এ দেশের মূর্খ কবিরাজ ও যাদুকররা অজ্ঞতা স্বরূপ উপরোক্ত ভুল কথা সমাজে ছড়িয়েছে।

তারা এই কথা ছড়িয়েছে অজ্ঞতা স্বরূপ অথবা মানুষকে ভয় পাইয়ে দেয়ার জন্য, অথবা তারা যখন কোন রোগীকে সুস্থ করতে অক্ষম তখন সেই অক্ষমতাকে ঢাকার জন্য হয়তো উপরের ভুল কথাটাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে।




যাদু দিয়ে কখনো যাদু কাটানো যায় না।

 যাদু দিয়ে কখনো যাদু কাটানো যায় না।

কুফরি দিয়ে কখনো কুফরি দূর করা যাবে না।



যেমনি ভাবে প্রস্রাব দিয়ে প্রস্রাব পরিষ্কার করা পসিবল না। বরং অপরিচ্ছন্নতা ও অপবিত্রতাই বৃদ্ধি পাবে। তেমনিভাবে এক কুফরী ও যাদু কাটাতে আরেক কুফরী ও যাদু করলে শুধু কুফরি ও যাদু বৃদ্ধিই পাবে । 


বরং প্রস্রাব পরিষ্কার ও পবিত্র করতে যেমন পানি দরকার, তেমনিভাবে কুফরী ও যাদু নষ্ট করতে হালাল ও পবিত্র কোনো কাজ দরকার।


মহান আল্লাহ বলেন,

 إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ ۚ 

 নিশ্চয় সৎকাজ অসৎ কাজকে মিটিয়ে দেয়।

(সূরাঃ হুদ, আয়াতঃ ১১৪)


ইমাম ইবনে কাসীর রহ. সূরা বাকারার ২৬৯ আয়াতের তাফসীরে লিখেন,

"আল্লাহ তাআলা মন্দকে মন্দের দ্বারা দূর করেন না বরং মন্দকে ভাল দ্বারা দূর করেন! অপবিত্র জিনিস অপবিত্র জিনিস দ্বারা বিদূরিত হয় না। "