শিশুর কথা বলতে দেরী হ‌চ্ছে?

শিশুর কথা বলতে দেরী হ‌চ্ছে?

মা জিনে আক্রান্ত হলে কখনো কখনো শিশুর কথা বলতে দেরী হয়।
এটা ঐ সমস্ত শিশুর ক্ষেত্রে হয় ,যেই শিশু তার মাকেও দেখে এবং মায়ের সাথে থাকা জিনকেও দেখে।এতে সেই শিশু মায়ের কথাও শোনে এবং মায়ের সাথে থাকা জিনের কথাও শোনে।একারণে সে কারো কথায়‌ই আয়ত্ব করতে পারে না।
এতে সাধারণ বাচ্চাদের মত কথা বলতে এই ধরনের শিশুদের একটু দেরি হয়। কোন শিশুর ৮ বছর ১০ বছর হয়ে যাওয়ার পরও সাধারণ বাচ্চাদের মত কথা বলতে পারে না। এরপর আস্তে আস্তে কথা বলতে সক্ষম হয়।
সুতরাং মা যদি জিনে আক্রান্ত হন এবং বাচ্চা কথা বলতে দেরী হয়, তাহলে এই দুইটি কাজ করুন।


শিশুকে সকাল সন্ধ্যা ও ঘুমানোর আগে এই তিন বেলা সূরা দোয়া পড়ে ঝাড়ফুঁক করবেন। কারণ শিশুরা মাসনুন আমল দ্বারা সুরক্ষিত হলে জিনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত থাকবে।শিশুকে মাঝে মাঝে বদনজরের গোসল করাবেন।



যে ওষুধের কথা ডাক্তার বলে না!

 যে ওষুধের কথা  ডাক্তার বলে না!


ইমাম আল-হাকিম আন-নিশাপূরী (রাহিমাহুল্লাহ) ছিলেন একজন বড়ো মুহাদ্দিস। একবার তাঁর মারাত্মক একটি অসুখ হয়েছিলো। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা করেও কোনো সুফল পাচ্ছিলেন না।


শেষ পর্যন্ত নিরুপায় হয়ে একদিন ইমাম আবু উসমান আস-সাবুনীকে (রাহিমাহুল্লাহ) অনুরোধ করেন তাঁর জন্য জুমুয়ার দিন দু’আ করতে।

ইমাম আবু উসমান আস-সাবুনী (রাহিমাহুল্লাহ) জুমু’আর দিন ইমাম আল-হাকিমের (রাহিমাহুল্লাহ) জন্য দু’আ করেন। উপস্থিত মুসল্লিরা সবাই ‘আমিন-আমিন’ বলে।


পরের সপ্তাহে একজন মহিলা একটি চিঠি নিয়ে উপস্থিত হন। তিনি আগের সপ্তাহে ঐ দু’আয় উপস্থিত ছিলেন। তিনিও আল-হাকিমের (রাহিমাহুল্লাহ) জন্য দু’আ করেছিলেন।


ঐ রাতে তিনি স্বপ্নে রাসূলুল্লাহকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দেখেন! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বলেন,

“আল-হাকিমকে গিয়ে বলো, মুসলিমদের মধ্যে পানি সরবরাহ করতে।”


মহিলা স্বপ্নের কথা আল-হাকিমকে (রাহিমাহুল্লাহ) লিখে দেন। আল-হাকিম (রাহিমাহুল্লাহ) আর দেরী করলেন না। তিনি তৎক্ষণাৎ পানি সংগ্রহ করে মুসলিমদের মধ্যে ফ্রি-তে বিতরণ করেন।


বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, এই ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যে

তিনি সুস্থ হয়ে উঠেন, তাঁর অসুখ একেবারেই কমে যায়!


কোন এমন ওষুধ আল-হাকিমের (রাহিমাহুল্লাহ) অসুখ কমালো? সেটা হলো- সাদকা।


শায়খ আলী জাবের আল-ফীফী (হাফিজাহুল্লাহ) তাঁর বিখ্যাত বই ‘লি আন্নাকাল্লাহ’ (বাংলায় যা ‘তিনিই আমার রব’ নামে অনূদিত) –তে একটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন।


তাঁর এক বন্ধুর গাড়ির নিচে এক ছেলে চাপা পড়ে। সে গাড়িটি থামিয়ে ছেলেটিকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে ছেলেটির বাবা ও দাদা উপস্থিত হোন। ডাক্তাররা জানায়, ছেলেটির বাঁচার সম্ভাবনা মাত্র ২০%। তিনি মনে মনে বেশ ব্যথিত হোন এই ভেবে যে, তাঁর জন্য একটি ছেলে মারা যাবে!


তিনি তাঁর পরিচিত একজন শায়খকে ফোন করে জিজ্ঞেস করেন, এখন কী করা যায়? সেই শায়খ বলেন,

“ছেলেটির সুস্থতা কামনা করে একটি পশু কুরবানি দাও।”


তিনি তাই করলেন। সপ্তাহখানেক পর তিনি যখন ছেলেকে দেখতে যান, দেখতে পেলেন ছেলেটি সুস্থ হয়ে গেছে!


ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন:

“বিপদের সময় সাদকার প্রভাব এতো বেশি যে, সেটা কল্পনার বাইরে। এমনকি কোনো ফাসিক, যালিম কিংবা কাফিরকেও সাদকা করা হয়, সেটা থেকেও ফল পাওয়া যায়।”


ইমাম আন-নববী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,

“যখন ওষুধ কোনো কাজ করতে পারে না, তখন সাদকা তার কার্যকারিতা শুরু করে দেয়। ওষুধ দ্বারা যে রোগের আরোগ্য হয় না, সাদকার মাধ্যমে অনেক সময় দেখা গেছে সেই রোগের আরোগ্য হয়। যাদের বুঝ আছে, তারা এই বিষয়টি অস্বীকার করেন না।”


©


যে দোয়াটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেদের শিখতে বলেছেন এবং অন্যদের শেখাতে বলেছেন—

 যে দোয়াটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেদের শিখতে বলেছেন এবং অন্যদের শেখাতে বলেছেন—


اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ فِعْلَ الْخَيْرَاتِ وَتَرْكَ الْمُنْكَرَاتِ وَحُبَّ الْمَسَاكِينِ وَأَنْ تَغْفِرَ لِي وَتَرْحَمَنِي وَإِذَا أَرَدْتَ فِتْنَةَ قَوْمٍ فَتَوَفَّنِي غَيْرَ مَفْتُونٍ، أَسْأَلُكَ حُبَّكَ وَحُبَّ مَنْ يُحِبُّكَ، وَحُبَّ عَمَلٍ يُقَرِّبُ إِلَى حُبِّكَ


“হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে নেক কাজ করার তাওফিক চাই, খারাপ কাজ ছেড়ে দেয়ার তাওফিক চাই, অভাবীদের জন্য ভালোবাসা চাই, আপনি যেন আমাকে ক্ষমা করেন ও আমার প্রতি রহম করেন। যখন আপনি কোন কাওমকে ফিতনা তথা পরীক্ষায় ফেলতে চান, তখন আমাকে পরীক্ষায় না ফেলে মৃত্যু দিয়ে দিন। আমি আপনার কাছে আপনার ভালোবাসা চাই, আপনাকে যে ভালোবাসে তার ভালবাসা চাই এবং এমন আমলের ভালোবাসা চাই যা আমাকে আপনার ভালোবাসার নিকটবর্তী করবে।”


রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: নিশ্চয় এ বাক্যগুলো সত্য, তোমরা নিজেরা এগুলো শিখ ও অন্যদেরকে শিক্ষা দাও”।


তিরমিযি, হাদিসের মান সহিহ।

ইলেকট্রিক ডিভাইসের উপর নিয়ন্ত্রণ

 এই জিনদের জগৎ আমাদের নিকট এখনো ঝাপসা রয়ে গেছে। আমার এক পেশেন্ট ,উনি আমাকে যখন‌ই কল দিতে চায়,আমার নাম্বার বিজি পায়।অথচ আমার নাম্বার এভাবে কখন‌ই এতো বিজি থাকে না।

নিচের কথাগুলো লিখেছেন Abdullah Fahad ভাই:


আমি এই ব্যাপারটা খুব ভালভাবে নিশ্চিত হয়েছি। ইলেক্ট্রিক ডিভাইসের উপর জ্বীনদের যথেষ্ঠ নিয়ন্ত্রন আছে। নিজে সাক্ষী কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করি।


১) আমার পেশেন্ট, নিজের বাড়ির সি সি ক্যামেরায় দেখছেন একটি নির্দিষ্ট অবয়বের জ্বীন। কিন্তু ওই একই জায়গায় একই সময়ে খালি চোখে কিছুই দেখা যাচ্ছেনা, অথচ সিসি ক্যামেরায় তখনও জ্বীনের অবয়ব স্পষ্ট। ভিডিও টা আমার কাছে এখনো আছে।


২) একটি পুরাতন বাড়ি। আগাখানদের সাবেক মসজিদ ছিলো। অনেকগুলো সিসি ক্যামেরা লাগানো। মাগরিবের আযানের পরপরই নির্দিষ্ট কয়েকটি ঝাপসা হয়ে যায়। ফজরের আযানের সময় সব ঠিক। ওই সিসি ক্যামেরা গুলোর ঠিক সামনে প্রবল ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ফোর্সের সিগন্যাল পাওয়া যায়।


৩) পরিচিত এক রাক্বী ভাই পেশেন্টের রুকইয়াহ শেষে পেশেন্ট আর তার গার্ডিয়ানের সাথে ড্রইং রুমে আলাপ করছিলেন। পেশেন্টের আইফোন সামনে টেবিলের উপর রাখা ছিলো।এমতাবস্থায় পেশেন্টের আইফোন নিজে থেকেই লক খুলে যায়। এরপর নোটপ্যাড খুলে সেখানে লিখা উঠে "it was a good try Mr. (রাক্বীর নাম)।


৪) পেশেন্টদের ফোন অটো কল যায়, ম্যাসেজ যায়। এরুপ একটি ঘটনাও পেয়েছি।


৫) জ্বীনঘটিত অনেক সমস্যা মেডিকেল টেস্টে আসে না। এর পেছনে আমার একটা প্রবল ধারনা হচ্ছে, ওই ডিভাইস গুলোতে কিছু একটা ঘটানো হয় শয়তান গুলো দ্বারা। আল্লাহ সর্বাধিক ভাল জানেন।


৬) যেসব পেশেন্টের জ্বীন সহজে দুর্বল হতে চায় না। তাদেরকে এক দেড় মাস মোবাইল সহ ইলেকট্রিক ডিভাইস থেকে যতদুরে রাখবেন আর প্রকৃতির কাছে যত নিবেন, জ্বীন তত দ্রুত শরীরের নিয়ন্ত্রন হারাবে।


নীচের পোস্টটি লিখেছেন আহমেদ রবিন। এবং তাতে চিন্তার খোরাক আছে।


------------------------------------------------------------


ডাক্তারি বিদ্যার একটা বড় দুর্বলতা হল যন্ত্রের প্রতি নির্ভরতা। এই বিদ্যার অনেক সিদ্ধান্ত আসে যন্ত্র কি বলে তার উপর ভিত্তি করে। যিনি অসুস্থ তার কথাটা অনেক সময় গৌন হয়ে যায়। যেমন, অনেক সময় আমরা বলি, জ্বর জ্বর লাগছে বা জ্বর আসছে। কিন্তু থার্মোমিটারের কিছু পাওয়া যায় না। এ থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় জ্বর নেই। অথচ রোগি বলছেন উনার জ্বর। রোগীর সাক্ষ্য এখানে গৌন বিষয়।


এমন অনেক উদাহরণ দেয়া যাবে। আপনার নিজের ব্যাপারে চিন্তা করলেও এমন পাবেন। আপনি কোনো সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়েছেন, একগাদা টেস্ট করে কিছুই পাওয়া গেল না। ডাক্তার আপনাকে কী পরামর্শ দিবে? স্বান্তনা পুরস্কার হিসেবে রিলাক্সেসেশনের ট্যাবলেট দিতে পারে। অথচ আপনি জানেন, আপনি সুস্থ না, আপনার শরীর ভাল লাগে না। আপনি বেশি জোর করলে আপনাকে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠানো হতে পারে। সেখান থেকে খটমটে কিছু নাম আর ঘুমের ওষুধ নিয়ে আসবেন। খাবেন আর সারাদিন মাতালের মত ঝিমাবেন। মেডিসিন খেলে কিছুদিন অসুস্থতার "বোধ" টা কম থাকে। বন্ধ করে দিলে আবার ফিরে আসে। একসময় মেডিসিনে আর ধরে না। তখন ডোজ বাড়ে, এভাবে চলতে থাকে। (বলছি না এটাই হয়, বলছি যে এটাও হয়)


কয়েকজনের অভিজ্ঞতা শুনে আমার বিশ্বাস হচ্ছে যে, অদৃশ্য জগতের বাসিন্দাদের যন্ত্রের উপর প্রভাব খাটানোর ক্ষমতা রয়েছে। তারা কিভাবে প্রভাব খাটায় সেটা জানি না। ফিজিক্স যারা পড়েছেন তারা জানেন, বিদ্যুৎ চালিত প্রতিটা যন্ত্রের চারপাশে একটা ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি হয়। আরেকটা ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ফিল্ড/ম্যাগনেটিক ফিল্ড কাছাকাছি আসলে দুইটারই পরস্পরের উপর পরস্পরের প্রভাব পড়ে। দুইটা চুম্বক কাছাকাছি আসলে হয় আকর্ষন করবে নাহয় বিকর্ষন করবে- এইটাইপের আর কি।


শয়তানের দল এই কাজটা করে মানুষকে পেরেশানি দেয়ার জন্য, আর কিছু না। আপনি ডাক্তার থেকে ডাক্তারে দৌড়াবেন, একের পর এক মেডিসিন খেতেই থাকবেন, টাকা পয়সা খরচ করে নিঃস্ব হতে থাকবেন। এক সময় "আমার উপরেই কেন এত বিপদ" এই টাইপের চিন্তা থেকে ঈমান হারাও হতে পারে। শয়তান ১০০% সফল তখন।


কাজেই ডাক্তারী বিদ্যাকে সুপ্রীম মনে করার কোনো কারণ নেই। এই বিদ্যায় শিক্ষিতরা যা বলে তাকেই চূড়ান্ত মনে করার দরকার নেই। বরং মেডিকেল শিক্ষার্থী এবং ডাক্তার-নার্সদের উচিত রুকইয়াহ, হিজামা নিয়েও সম্যক জ্ঞান অর্জন করা। কারণ পুরো ডাক্তারি বিদ্যায় স্পিরিচুয়াল হিলিংকে স্থান দেয়া হয় নি (আমার জানামতে)। অথচ কারও যদি স্পিরিচুয়াল হিলিং দরকার হয় তাকে সেটাই দিতে হবে। অন্য কিছুতে কাজ হবে না।


[এই পোস্ট থেকে কেউ আবার এই মানে বের করবেন না যে, ডাক্তারের কাছে যেতে মানা করছি।]

বদনজর

 Farhat Bhai

শুনলে হয়তো অনেকে হাসবেন....

কিন্তু একটা জ্বিন নিশ্চিত করেছে যে তারা কারো উপর বদনজর দেয় এভাবে লেজার মেরে। ঐ লেজারে পেশেন্টের চামড়া পুড়ে ফেলে না কিন্তু জ্বালাপোড়া অনুভূতি হয় ও অনেকের ফোসকা পরে। বিশেষ করে জ্বিনের রোগীদের এবং যারা জ্বিনের রোগীকে রুকইয়াহ করে থাকে তাঁর উপর লেজার মারে।

এটাও জেনেছি এরকম সময় নাকি আয়াতুল কুরসীই সবচেয়ে বড় অস্ত্র।

এসব তথ্যের ব্যাপারে আল্লাহ ভালো জানেন









কিছু জ্বীন আছে যারা ক্যান্সারের কারণ।


কিছু জ্বীন আছে যারা বিভিন্ন রোগব্যাধি এবং ক্যান্সারের কারণ।



একজন মহিলার ডান স্তনে ক্যান্সার ছিল, এবং ডাক্তাররা সিদ্ধান্ত নেন যে এই অংশটি অপসারণ করা উচিত। বাস্তবেই এটি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়েছিল। তারপর, অল্প সময় পরে, তার বাম স্তনে ব্যথা শুরু হয়। ডাক্তাররা ডাক্তারি পরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেন যে, এটি ক্যান্সার এবং এই (অবশিষ্ট থাকা )অন্য স্তনের ক্যান্সার অবশ্যই নির্মূল করা উচিত।তখন তার পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং কোরআনের চিকিৎসার আশ্রয় নেয়। তার কাছে কুরআন তিলাওয়াত করার পর জ্বীন তার মুখে কথা বলে এবং আমাদের বলে যে, সেই তার এই রোগের কারণ ছিল । এমনকি এই পরিকল্পনাও করেছিলো যে, হাঁটুকেও স্তনের মতো এক‌ইভাবে আক্রান্ত করবে।

  এরপর কুরআন দ্বারা চিকিৎসার মাধ্যমে জ্বিন এই মহিলাকে ছেড়ে বেরিয়ে যায় এবং মহিলার ব্যথাও চলে যায়। পুনরায় তারা পরীক্ষা করে দেখেছেন যে,মহিলা শতভাগ নিরাপদ ও সুস্থ।


মাজমুউল ফাত‌ওয়া (৮/৩৬৪)

- শায়খ আব্দুল আযীয বিন বায রাহিমাহুল্লাহ




من أسباب مرض السرطان والأمراض

هناك من الجن من يكون سبب في مرض السرطان


إمرأة أصيبت بمرض السرطان في ثديها الأيمن وأقرَّ الأطباء ضرورة استئصال هاذا الجزء وبالفعل تم استئصاله بالجراحة ثم بعد قليل عاودها الألم في ثديها الأيسر وبإجراء التحاليل الطبية اقر الأطباء أنه مرض السرطان ولابد من استئصاله هو الآخر ففزع أهلها ولجؤا الي العلاج بالقرآن ،وبعد القراءة عليها نطق الجن علي لسانها وأخبرنا أنه هو الذي سبب لها هاذا المرض وان كان مخططا ان يصيب الركبة بمثل ما أصاب الثديين وبالعلاج القرآني خرج الجن وترك هاذه السيدة وزال الألم عن السيدة وبإعادة التحاليل وجدوا أنها سليمة مئة بالمائة.


📚مجموع فتاوي ومقالات متنوعة لسماحة الشيخ عبدالعزيز بن باز رحمه الله (8/364)





যারতার কাছে সমস্যার কথা উল্লেখ করবেন না।

 "আপনার যেকোন প্রয়োজনের কথা মানুষের কাছে না বলে সবার আগে আল্লাহকে বলুন। 

অন্য কারো মুখাপেক্ষী হওয়ার আগে আল্লাহর মুখাপেক্ষী হোন।


রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,❝যে ব্যক্তি কষ্টে পতিত হয় এবং মানুষের কাছে অভিযোগ করে, তার প্রয়োজন কখনোই পূরণ হবে না। যে ব্যক্তি কোন অসুবিধায় পতিত হয় এবং আল্লাহর কাছে অভিযোগ করে,আল্লাহ্ ﷻ আগে কিংবা পরে তার প্রয়োজন পূরণ করে দিবেন।❞ [সুনানে তিরমিযি]"

তার অর্থ আবার এই নয় যে আপনি অসুস্থ হলে বা প্যারানরমাল সমস্যায় আক্রান্ত হলে ডাক্তার বা রাকীর দ্বারস্থ না হয়ে সমস্যাগুলো নিজের মধ্যে জিইয়ে রাখবেন।

যারতার কাছে সমস্যার কথা উল্লেখ করতে নিষেধ করা হয়েছে। আল্লাহর উপর ভরসা রেখে ডাক্তার বা রাকীর দ্বারস্থ হ‌ওয়া তাক‌ওয়া তাওয়াক্কুলের পরিপন্থী নয়।

সন্তানকে ধ্বংস করবেন না

 আপনি রাগের মাথায় আপনার সন্তানকে বললেন.. মর তুই! ফেরেশতারা তখন বললো.. আমিন।


আপনার সন্তানকে বললেন.. তোর ভবিষ্যত অন্ধকার। ফেরেশতারা তখন বললো.. আমিন।


আপনি রাগের মাথায় আপনার সন্তানকে বললেন.. তোর মুখ আমি দেখতে চাই না। ফেরেশতারা তখন বললো.. আমিন।


আপনি রাগের মাথায় মেয়েকে বললেন.. জীবনেও স্বামীর ভাত খেতে পারবি না। ফেরেশতারা তখন বললো.. আমিন।


আপনি রাগের সময় সন্তানকে বললেন.. মরার সময় পানি পাবি না। ফেরেশতারা তখনও বললো.. আমিন।


আচ্ছা আপনি তো সেই মানুষ তাই না— যে নিজের সন্তানকে নিজের জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসেন?


আপনি তো সেই মানুষ তাই না— যার থেকে কেউ বেশি আন্তরিক দোয়া করতে পারবে না!


আপনি কি জানেন.. ফেরেশতারা প্রতিটা কথার পরে আমিন আমিন বলেন!


আপনি কি জানেন— মা-বাবার রাগের মাথায় বলা প্রতিটা কথা আল্লাহ তাআলার দরবারে কবুল হয়। তো আপনার কলিজার টুকরা সন্তানের ক্ষতি আপনি নিজেই করছেন না তো?


আপনার সন্তান অন্যায় করছে.. মা-বাবা হিসেবে আপনি এই ভাষা ব্যবহার না করে এগুলো বলুন..


আল্লাহ তোকে হেদায়েত দিন। আমার জন্য চক্ষু শীতলকারী বানান। অথবা বলতে পারেন—

আল্লাহ তোকে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর মত বানান। আল্লাহ তোকে আয়েশা রা. এর মত বানান।


সবার সন্তান সবার কলিজার টুকরা। অতএব সন্তানকে বদদোয়া দেওয়া মানে নিজের চোখে নিজে বালি দিয়ে নষ্ট করে ফেলা!


আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে বুঝার ও আমল করার তাওফিক দান করুন (আমিন)।

©️





সাদাকার গল্প "মানুষের মনে হাসি ফোটাও, তাদের কষ্টগুলো দূর করে দাও, আর এসবের প্রতিদান চাও মহানুভব রব আল্লাহর কাছে।"

 সাদাকার গল্প 

"মানুষের মনে হাসি ফোটাও, তাদের কষ্টগুলো দূর করে দাও, আর এসবের প্রতিদান চাও মহানুভব রব আল্লাহর কাছে।"


গল্পটা সৌদি আরবের অনন্য এক দানশীল ব্যক্তির। তাঁর নাম শেখ সুলায়মান আল রাজী। দু'হাতে তাঁর দানের কথা কিংবদন্তি হয়ে আছে। বিশ্বের বড় ইসলামি ব্যাংক ও বড় খেজুর বাগানের মালিক তিনি। পুরো রমজান মাসে এ বাগানের খেজুর দিয়েই মক্কা মদিনার রোজাদারদের ইফতার করানো হয়।


পরিশ্রম কীভাবে একেবারে শূন্য থেকে এ মানুষটিকে মাল্টি বিলিয়নিয়ার তথা বিশ্বের ১২০তম ধনী মানুষে পরিণত করেছে এবং দু'হাতে দান করে তিনি কেমন আনন্দ পেতেন সেটা অনুপম আশা জাগানিয়া এক গল্প। আসুন সে গল্পটাই আমরা শুনি!


সুলায়মান আল রাজী ছিলেন সৌদি এক অতি দরিদ্র পরিবারের সন্তান। শৈশবে স্কুলে পড়ার সময় এক শিক্ষা সফরে যেতে পরিবারের কাছে কান্নাকাটি করেও এক রিয়াল জোগাড় করতে পারেননি। কারন এক রিয়াল দেয়ার মতো সামর্থ্য তাঁর পরিবারের তখন ছিল না। শিক্ষা সফরের একদিন আগে ফিলিস্তিনি ক্লাশ শিক্ষক স্কুলে প্রশ্নের সঠিক জবাব দেয়ায় তাঁকে এক রিয়াল উপহার দেন। মুহূর্তেই তাঁর প্রবল কান্না পরম আনন্দে পরিণত হয়। তিনি সহপাঠীদের সাথে শিক্ষা সফরে যেতে সুযোগ পান।


কর্মজীবনে যোগদানের জন্য ৯ বছর বয়সে তিনি স্কুল ছেড়ে দেন। প্রথমেই বন্দরে মাল ওঠানোনামানো অর্থাৎ পোর্টারের কাজ করেন। এরপর দিনমজুর, শ্রমিক,বাবুর্চি, ওয়েটার, দোকান কর্মচারীর কাজ করেন। উপার্জনের অর্থ দিয়ে মুদি দোকান দেন। বিয়ের খরচের জন্য দোকান বিক্রি করে দেন। তারপর ভাইয়ের সাথে একত্রে ব্যবসা শুরু করেন। ১৯৭০ সালে ভাইয়ের কাছ থেকে আলাদা হয়ে একা কারেন্সি ট্রেডিং (মুদ্রা বিনিময়) ব্যবসা শুরু করেন। প্রথমে সৌদি আরবে ৩০টি শাখা এবং পরে মিশর,লেবানন ও জিসিসি দেশগুলোতেও শাখা খুলেন। বদলে যায় ভাগ্যের চাকা। প্রতিষ্ঠা করেন আল রাজী ব্যাংক ও আল রাজী ইসলামিক গ্রুপ। অন্য আরো ব্যবসা।


বিশ্বের সবচেয়ে বড় খেজুর বাগানটি তাঁর। এ বাগানে ২ লক্ষ খেজুর গাছ আছে। মধ্য সৌদি আরবের আল কাসিম প্রদেশে অবস্থিত এ বাগানের আয়তন প্রায় সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর। এ বাগানে ৪৫ ধরনের খেজুর আবাদ হয়। ১৯৯০ সালে এখানে গম এবং তরমুজও করা হতো। কিন্তু ১৯৯৩ সালের পর শুধু খেজুর ফলানো হয়। বাগানটি গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্হান করে নেয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে শেখ সুলায়মান আল রাজী এ বাগানটি আল্লাহর রাস্তায় পুরোপুরি ওয়াকফ করে দেন। রমজানে কা'বা শরীফ ও মসজিদে নববী এবং অন্য মসজিদসমূহে এ বাগানের খেজুর দিয়েই ইফতার করানো হয়। মুসলিম দেশগুলোতে এ বাগানের খেজুরই উপহার হিসেবে পাঠানো হয়। এর আয় ব্যয় কর হয় দরিদ্রদের সহায়তায়।


ফোর্বস সাময়িকীর মতে শেখ সুলায়মান আল রাজীপৃথিবীর ১২০তম ধনী ব্যক্তি। সৌদি রয়েল ফ্যামিলির বাইরে নিজের উপার্জনে একমাত্র কোরপোরেট বিলিয়নিয়ার। তাঁর সম্পদের পরিমান ৭.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ২০ জন মানবিক সহায়তা প্রদানকারীর মধ্যে অন্যতম। আল রাজী ব্যাংকের ২০ শতাংশ অর্থ সৌদি দরিদ্র শিশুদের জন্য ব্যয় করা হয়। তিনি স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মসজিদ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। তিনি তাঁর সমুদয় সম্পদের দুই তৃতীয়াংশ চ্যারিটির জন্য দান করেছেন। বাকিটা ছেলেমেয়েদের মধ্যে বন্টন করে দেন।


মোটামুটি ধনী হওয়ার পরই সুলায়মান আল রাজীর মনে পড়ে তাঁর সেই শিক্ষকের কথা। তিনি তাঁকে খুঁজে বের করেন। সাক্ষাৎ হলে তিনি দেখতে পান তাঁর ফিলিস্তিনি শিক্ষক কর্মহীন এবং দারিদ্রতার মধ্যে কষ্টে জীবন যাপন করছেন। তিনি তাঁকে তার পরিচয় দেন এবং শৈশবে এক রিয়ালের কথা স্মরণ করিয়ে দিলে শিক্ষক তাঁকে চিনতে পারেন। তিনি শিক্ষককে গাড়িতে উঠান এবং একটি বাগান বাড়িতে নিয়ে যান। তাকে গাড়িসহ বাগান বাড়ি উপহার দেন। সাথে দেন সারাজীবন চলার জন্য শিক্ষককে খরচের টাকা। আবেগ আপ্লুত শিক্ষক তাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। কিন্তু সুলায়মান আল রাজী তাঁর শিক্ষককে বলেন, "আপনি আজ খুশীতে কাঁদছেন। তারচেয়েও বেশি খুশি হয়েছিলাম আমি সেদিন, যেদিন আপনার কাছ থেকে এক রিয়াল উপহার পেয়েছিলাম। আমার জন্য সেই উপহারটা ছিল অতুলনীয়। সেদিন আপনি বলেছিলেন, "মানুষের মনে হাসি ফোটাও, তাদের কষ্টগুলো দূর করে দাও, আর এসবের প্রতিদান চাও মহানুভব রব আল্লাহর কাছে। সেটা ঠিকই বলেছিলেন। মহান আল্লাহ আমাকে ধন সম্পদ দিয়ে ভরে দিয়েছেন। আর হালাল পথেই এসেছে এ সম্পদ।"


বয়স এখন ৯৭ বছর। জীবন সায়াহ্নে সুলায়মান আল রাজী তাঁর সম্পদ পরিবার ও আল্লাহর রাস্তায় বন্টন করে দেয়ার পর এক সাক্ষাৎকারে বলেন, "আমি এখন মুক্ত। মুক্ত আমি পাখির মতোই। নিজেকে খুব হালকা লাগছে। মহান আল্লাহর ডাকের অপেক্ষায় আছি। মহান রবের মেহমান হতে পারাটাই সৌভাগ্যের"!


শেখ সুলায়মন আল রাজী সৌদি আরবে খুবই সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। দানশীলতা ও দেশের উন্নয়নে অবদানের জন্য তাঁকে সৌদি আরবের বড় পুরস্কার "বাদশা ফয়সাল" পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।


সংগৃহীত।






"জিন রক্তের সাথে মিশে গেছে।"

 "জিন রক্তের সাথে মিশে গেছে।"


আমাদের কাছে আগত বহু পেশেন্টের মুখ থেকে আমরা এই কথাটি মাঝে মাঝেই শুনি।

উপরোক্ত কথাটির দুটি অর্থ হতে পারে।একটা অর্থ হলো , মাছ যেভাবে পানির সাথে মিশে থাকে ,জিন সেভাবে রক্তের সাথে মিশে গেছে, এই অর্থে বললে ঠিক আছে । আরেকটা অর্থ হলো, দুধ যেভাবে পানির সাথে মিশে যায়, সেভাবে মিশে গেছে,এই অর্থে বললে বিষয়টা একেবারেই ভুল।আর আমাদের দেশের অনেক মানুষ এই ভুল অর্থতেই বলে। এই বিশ্বাস মনে থাকাটা সুস্থতার জন্য অন্তরায় ।



কারণ বাস্তবে জিন কখনো মানুষের রক্তের সাথে দুধ পানির মতো মিশে একাকার হতে পারবে না। জিন তার আলাদা দেহ নিয়ে মানুষের শরীরে অবস্থান করে ও রক্তনালী দিয়ে ঘুরে বেড়ায়। যেভাবে মাছ পানিতে তার আলাদা শরীর নিয়ে ঘুরে বেড়ায়।

জিন মানুষের পুরো শরীরের রক্তনালীগুলোতে চলতে পারে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন

إِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِي مِنَ ابْنِ آدَمَ مَجْرَى الدَّمِ ‏

মানুষের শরীরের রক্তধারায় শয়তান চলাফেরা করে। বুখারী , হাদিস নং ১৯১১


আর এভাবে জিন তার সৃষ্ট সমস্যা গুলো রক্তের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়।দেহে নানান রকম রোগব্যাধি সৃষ্টি করে।


তাহলে এই ভুল অর্থটা এ দেশে কারা ছড়িয়েছে?

এ দেশের মূর্খ কবিরাজ ও যাদুকররা অজ্ঞতা স্বরূপ উপরোক্ত ভুল কথা সমাজে ছড়িয়েছে।

তারা এই কথা ছড়িয়েছে অজ্ঞতা স্বরূপ অথবা মানুষকে ভয় পাইয়ে দেয়ার জন্য, অথবা তারা যখন কোন রোগীকে সুস্থ করতে অক্ষম তখন সেই অক্ষমতাকে ঢাকার জন্য হয়তো উপরের ভুল কথাটাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে।




যাদু দিয়ে কখনো যাদু কাটানো যায় না।

 যাদু দিয়ে কখনো যাদু কাটানো যায় না।

কুফরি দিয়ে কখনো কুফরি দূর করা যাবে না।



যেমনি ভাবে প্রস্রাব দিয়ে প্রস্রাব পরিষ্কার করা পসিবল না। বরং অপরিচ্ছন্নতা ও অপবিত্রতাই বৃদ্ধি পাবে। তেমনিভাবে এক কুফরী ও যাদু কাটাতে আরেক কুফরী ও যাদু করলে শুধু কুফরি ও যাদু বৃদ্ধিই পাবে । 


বরং প্রস্রাব পরিষ্কার ও পবিত্র করতে যেমন পানি দরকার, তেমনিভাবে কুফরী ও যাদু নষ্ট করতে হালাল ও পবিত্র কোনো কাজ দরকার।


মহান আল্লাহ বলেন,

 إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ ۚ 

 নিশ্চয় সৎকাজ অসৎ কাজকে মিটিয়ে দেয়।

(সূরাঃ হুদ, আয়াতঃ ১১৪)


ইমাম ইবনে কাসীর রহ. সূরা বাকারার ২৬৯ আয়াতের তাফসীরে লিখেন,

"আল্লাহ তাআলা মন্দকে মন্দের দ্বারা দূর করেন না বরং মন্দকে ভাল দ্বারা দূর করেন! অপবিত্র জিনিস অপবিত্র জিনিস দ্বারা বিদূরিত হয় না। "






সাদাকার প্রতিদানের পরিমাণে পার্থক্য রয়েছে।

 সাদাকার প্রতিদানের পরিমাণে পার্থক্য রয়েছে।



وَ مَثَلُ الَّذِیۡنَ یُنۡفِقُوۡنَ اَمۡوَالَہُمُ ابۡتِغَآءَ مَرۡضَاتِ اللّٰہِ وَ تَثۡبِیۡتًا مِّنۡ اَنۡفُسِہِمۡ کَمَثَلِ جَنَّۃٍۭ بِرَبۡوَۃٍ اَصَابَہَا وَابِلٌ فَاٰتَتۡ اُکُلَہَا ضِعۡفَیۡنِ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یُصِبۡہَا وَابِلٌ فَطَلٌّ ؕ وَ اللّٰہُ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ بَصِیۡرٌ ﴿۲۶۵﴾


এবং যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি সাধন ও স্বীয় জীবনের প্রতিষ্ঠার জন্য ধন সম্পদ ব্যয় করে তাদের উপমা - যেমন উর্বর ভূভাগে অবস্থিত একটি উদ্যান, তাতে প্রবল বৃষ্টিধারা পতিত হয়, ফলে সেই উদ্যান দ্বিগুণ খাদ্যশস্য দান করে; কিন্তু যদি তাতে বৃষ্টিপাত না হয় তাহলে শিশিরই যথেষ্ট এবং তোমরা যা করছ আল্লাহ তা প্রত্যক্ষকারী। বাকারাহ ,265



এখানে মহান আল্লাহ ঐ মুমিনদের দানের দৃষ্টান্ত দিচ্ছেন যারা তাঁর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে দান করে থাকেন এবং উত্তম প্রতিদান লাভেরও তাদের পূর্ণ বিশ্বাস থাকে। যেমন হাদীস শরীফে রয়েছে রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেনঃ “যে ব্যক্তি (আল্লাহর উপর) বিশ্বাস রেখে ও পুণ্য লাভের আশা রেখে রমযানের রোযা রাখে তার পূর্বের সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দেয়া হয়। (আরবি) বলা হয় উঁচু ভূমিকে যেখান দিয়ে নদী প্রবাহিত হয়। (আরবি)-এর অর্থ হচ্ছে প্রবল বৃষ্টিপাত। বাগানটি দ্বিগুণ ফল দান করে। অনান্য বাগানসমূহের তুলনায় এই বাগানটি এইরূপ যে, ওটা উর্বর ভূ-ভাগে অবস্থিত বলে বৃষ্টিপাত না হলেও শিশির দ্বারাই তাতে ফুল-ফল হয়ে থাকে। কোন বছরই ফল শূন্য হয় না। অনুরূপভাবে ঈমানদারদের আমল কখনও পুণ্যহীন হয় না, তাদেরকে তাদের কার্যের প্রতিদান অবশ্যই দেয়া হয়। তবে ঐ প্রতিদানের ব্যাপারে পার্থক্য রয়েছে যা ঈমানদারের খাঁটিত্ব ও সকার্যের গুরুত্ব হিসেবে বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। বান্দাদের কোন কাজ আল্লাহর নিকট গোপন নেই। বরং তিনি তাদের কার্যাবলী সম্যক অবগত রয়েছেন।

-তাফসীরে ইবনে কাসীর।


এখান থেকে বুঝা গেলো , সাদাকার প্রতিদানের পরিমাণে পার্থক্য রয়েছে। যা ঈমানদারের নিয়তের খাঁটিত্ব এবং সাদাকার স্থান ও পাত্রের বিবেচনায় প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব হিসেবে বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।











ফিরিশতার দোয়া লাগবে?

 ফিরিশতার দোয়া লাগবে?

.

আমরা মা-বাবার কাছে দোয়া চাই। পীর-বুযুর্গ-শায়খের কাছে দোয়া চাই। ময়মুরুব্বি, ওস্তাদের কাছে দোয়া চাই। আমি চাইলে ফিরিশতাগনেরও দোয়া লাভ করতে পারি। অত্যন্ত সহজেই। আট সময়ে ফিরিশতাগন আমার জন্য দোয়া করতে থাকেন,


১: আমি যখন প্রথম কাতারে নামাজে দাঁড়াই। যতক্ষণ এই কাতারে থাকব, ততক্ষণ ফিরিশতাগনের দুর্লভ দোয়া পেতে থাকব (সহীহ তারগীব তারহীব ৪৯১)।


২. আমি যখন সলাতের অপেক্ষায় মসজিদে বা জায়নামাজে বসে থাকি। আমি যখন ফরজ নামাজের পর মসজিদে বসে থাকি। যতক্ষণ বসে থাকব, ততক্ষণ ফিরিশতাগন আমার জন্য দোয়া করতে থাকবেন (মুসলিম ৬৪৯)।


৩. অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে গেলে। ঘর থেকে বের হওয়ার পর থেকে, অসুস্থ্যকে দেখে ঘরে ফেরা পর্যন্ত নিষ্পাপ ফিরিশতাগন আমার জন্য দোয়া করতে থাকবেন (সিলসিলা সহীহাহ ৩৪৭৬)।


৪. শুধু আল্লাহর জন্য, আল্লাহকে রাজিখুশি করার জন্য, কোনও মুসলিম ভাইয়ের সাথে সাক্ষাত করতে গেলে। বাড়ি ছেড়ে বের হওয়া থেকে শুরু করে, বাড়ি ফেরা পর্যন্ত আমি ফিরিশতাগনের বরকতময় দোয়ায় শামিল থাকব (মুসলিম ২৫৬৭)।


৫. মুসলিম ভাইয়ের জন্য তার অনুপুস্থিতিতে দোয়া করার সময় ফিরিশতাগন আমার জন্য দোয়া করতে বসে যান। বিশ্ব মুসলিমের জন্য, নিজের ভাই-বেরাদরের জন্য দোয়া করার সময় খেয়াল রাখব, আমি যত বেশি সময় তাদের জন্য দোয়ায় মশগুল থাকব, তত বেশি সময় আমি ফিরিশতাগনের দোয়ার চাদরে মোড়ানো থাকব (মুসলিম ২৭৩২)।


৬. মানুষকে কল্যাণের শিক্ষা দেয়া সময়। সেটা হতে পারে একটি ভাল কথা, একটি ভাল কাজ, একটি উপকারী তথ্য, একটি দরকারি টিপস। সুযোগ পেলেই ফিরিশতাগনের দোয়া নেয়ার চেষ্টা করতে ত্রুটি করব না (জামে সগীর ৫৮৪১)।


৭. ওজু বা পবিত্র অবস্থায় ঘুমুলে। ঘুমের আগে ওজু করতে অলসতা লাগে? উপকারটা একটু চিন্তা করে দেখি? সামান্য কষ্ট করে ওজু করলে, একটানা চার-পাঁচ ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় ধরে ফিরিশতাগন আমার জন্য দোয়া করেই যাবেন। দোয়া করেই যাবে। কী অসাধারণ সুযোগ (তারগীব তারহীব ৫৯৯)।


৮. সাহরী খাওয়ার সময়। ফিরিশতাগনের দোয়ার আশায় হলেও সাহরী খাওয়ার সময়টা যথাসম্ভব দীর্ঘ করব। দীর্ঘ করার প্রক্রিয়াটা এভাবেও হতে পারে, সাহরির মূল খাবার গ্রহনের বেশ আগে, সাহরির নিয়তে একঢোঁক পানি পান করে নিলাম। তারপর মূল খাবার খেলাম। তারপর একেবারে শেষ সময়ে একটা খেজুর খেলাম। তাহলে দীর্ঘ সময় দোয়া পাবো (জামে সগীর ১৮১০)।


রাব্বে কারীম বেশি বেশি ফিরিশতাগনের অমূল্য দোয়া হাসিল করার তাওফিক দান করুন। আমীন।

.

সংগৃহীত 

আভা কি?

 আভা কি?

এটি একটি আলোকিত স্তর যা একজন ব্যক্তিকে অনেক ক্ষতি এবং নেতিবাচক এমন অনেক বিষয় থেকে রক্ষা করে, যা তার জীবনে দখল করতে পারে, যেমন জিন, জাদু,বদনজর,হাসাদ।


এই আভার স্তর মোটা ও শক্তিশালী হয় প্রচুর ইবাদত, কুরআন পাঠ, যিকির, তাসবীহ, নবীর উপর দুরুদ পড়া, অযু করা, সকালে ৭টি আজ‌ওয়া খাওয়া, তালুতে কোরান পাঠ করা এবং তা দিয়ে সারা শরীর মুছে ফেলা, পড়া পানি বা জমজমের পানি বা বৃষ্টির বা ঝরনা পানি দিয়ে গোসল করা। জাইতুন তেল মালিশ করা, আর জলপাই তেলে আছে নূর এবং শক্তি । কেননা জলপাই বরকতময় বৃক্ষ।


বদনজরের তীর, হাসাদ ও ঈর্ষা এবং জাদু যা অন্যদের কাছ থেকে আপনার উপর পতিত হয়, এসবের কারণে এই আভা দুর্বল হয়ে যায় ,এগুলো ধ্বংসাত্মক কীটের মতো বিকৃতি তৈরি করে,সব উলটপালট করে দেয়। এছাড়াও এটি হারাম কাজে লিপ্ত হ‌ওয়া দ্বারা,রাগ, বিরক্তি, হিংসা এবং সমস্ত নেতিবাচক বিষয় দ্বারা দুর্বল হয়ে পড়ে।


এটিও প্রতিয়মান হয়েছে যে এই আভা শব্দ, শ্রবণ এবং গন্ধ দ্বারাও প্রভাবিত হয়। যেমন কুরআনের আওয়াজ (বিশেষত ফজরের সালাতে কুরআন তিলাওয়াত,এতে আলোকিত ফেরেশতাদের উপস্থিত থাকে, দেখুন সূরা বনী ইসরা‌ঈল,আয়াত-৭৮) এবং কস্তুরীর সুঘ্রাণ এবং সেসব খাবার যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের জন্য সাজেস্টে করেছেন। যেমন খেজুর (যে ব্যক্তি সকালে খালি পেটে ৭টি খেজুর খাবে, সেদিন তার বিষ বা যাদুতে কোনো ক্ষতি হবে না) এবং অলিভ অয়েল (তেল খান এবং তাত মালিশ করুন, কারণ এটি একটি বরকতময় গাছ থেকে এসেছে)।


মানুষের সাথে সংমিশ্রণ‌ও আভাকে প্রভাবিত করে। খারাপ সমাবেশে হাঁটু গেড়ে বসে থাকা, গান গাওয়া এবং নাচা , এগুলো আপনার শক্তি কেড়ে নেবে। একজন আলোকিত ব্যক্তি এই সমাবেশগুলি সহ্য করতে পারে না কারণ সে দমবন্ধ এবং অস্বস্তি বোধ করে। অন্যদিকে আলোকিত ব্যক্তি শক্তিশালী হয় জিকির এবং কুরআন তিলাওয়াতের মজলিস দ্বারা ,যা আলোকিত ফেরেশতাদের দ্বারা বেষ্টিত থাকে।তাই আলোর শক্তি এই দুটি দলের মধ্যে বেশি থাকে।তাই এই আলোকিত আভাগুলোর যখন সম্মিলন ঘটে তখন আপনি শান্তি পান।তাই এমন কিছু লোক আছে যারা আলোকিত ব্যাক্তির সাথে কথা বলতে এবং তার সাথে থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে এবং অন্যরা যারা কয়েক মিনিটের জন্যও তার সাথে থাকতে পারে না


জিন, জাদু এবং বদনজর দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তির এই আভা প্রথমেই ভঙ্গ হয়েছে।তাই তাকে প্রথমে এই আভাকে ভালভাবে শক্তিশালী করতে হবে। যাতে আভার মধ্যে নেতিবাচক বিষয় প্রবেশ করার উন্মুক্ত দরজাগুলো বন্ধ হয়ে যায়।যেনো অন্য শয়তানেরা প্রবেশ করতে না পারে। এজন্য প্রতিদিন রুকইয়াহ করা তেল দোয়া পড়তে পড়তে পুরো শরীরে মালিশ করবে।যেনো নেতিবাচক দরজাগুলো বন্ধ হয়ে যায়।তেলের মধ্যে শরীর বন্ধ করার নিয়তে রুকইয়াহ করে তা মালিশ করা এবং পানিতে রুকইয়াহ করে তা পান করা ও গোসল করা।এতে করে দরজাগুলি আল্লাহর রহমতে বন্ধ হয়ে যাবে । তারপর শরীরে যেসব সমস্যা আছে এবং রোগী যেসব সমস্যা অনুভব করছে সে অনুযায়ী রুক‌ইয়াহ শোনবে। আল্লাহর তাওফিকে লেখা সম্পন্ন হলো। যা সঠিক তা আল্লাহর পক্ষ থেকে, এবং যা ভুল তা আমার এবং শয়তানের পক্ষ থেকে।


আরবী আর্টিকেল অবলম্বনে।

(আর্টিকেলটা পড়ে উপকারী মনে হলো,তাই আপনাদের জন্য অনুবাদ করলাম।)


নূরুল হাসান

৩০/৫/১৪৪৩ হিজরী




বিপদমু মিনের জন্য রহমত

 বিপদমু মিনের জন্য রহমত

ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম রাহিমাহুল্লাহ বলেন


"বিপদ দুঃখ-কষ্টকে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের জন্য রহমত স্বরূপ বানিয়েছেন। এর মাধ্যমে তাদের গুনাহ মোছন করেন। তাই এটা বান্দাদের উপর তাঁর বড় নেয়ামত সমূহের অন্তর্ভুক্ত যদিও তাদের মন এটা অপছন্দ করে।"


মিফতাহু দারিস সাআদাহ,২৯১



সালাফদের এটাই নীতি ছিলো,তারা আগে ঘুমাতেন,আগে উঠতেন।

 সালাফদের এটাই নীতি ছিলো,তারা আগে ঘুমাতেন,আগে উঠতেন।


আর্লি টু বেড এন্ড আর্লি টু রাইজ


আমাদের সালাফগণ ভোররাতে ঘুমাতেন না...


কিছু লাইফস্টাইল চেইঞ্জ আছে যেগুলা করতে আসলে কোন খরচ লাগে না, ইচ্ছাই যথেষ্ট। আজকে এমন একটা লাইফস্টাইল চেঞ্জ হচ্ছে, দ্রুত ডিনার সেরে ফেলা।


মাগরিবের পর পর ডিনার সেরে ফেলুন। সবচেয়ে ভাল হচ্ছে শীতের দিন রাত ৭টার মধ্যেই ডিনার সেরে ফেলা আর গরমের দিনে রাত ৮ঃ৩০ এর মধ্যে ডিনার সেরব ফেলা।


আগে আগে ডিনার সারবেন কেন??


কারন ৯টা বাজার সাথে সাথে আপনার শরীরের মাস্টার ক্লক ঘুমের হরমোন রিলিজ করতে শুরু করে, স্ট্রেস হরমোন লেভেল কমতে শুরু করে।


আপনি এই সময়ে বা এরপরে খাওয়া মানে প্রথমে ইনসুলিন সিক্রেশন, এরপর ইনসুলিন দ্বারা প্রভাবিত আরো কিছু এনাবোলিক হরমোন লাইক কর্টিসোল (স্ট্রেস হরমোন) লেভেল বেড়ে যাওয়া।


এই হরমোনগুলো ঘুমের হরমোন মেলাটোনিনকে সাপ্রেস করে, ফলে আমাদের ঘুম আসতে দেরি হয়। অনেকেই রাত ১১টার পর খান। এটা খুবই বাজে অভ্যাস। রাত ১১টার দিকে মেলাটোনিনের সবচেয়ে বড় ওয়েভগুলোর শেষটা রক্তে আসা শুরু করে। এসময় খাওয়া মানে ঘুমের বারোটা বাজানো একেবারে পাকাপোক্ত করা।


তবে, গ্রোথ হরমোন লেভেল ভাল থাকা এবং স্ট্রেস লেভেল কম থাকলে অনেকে এসময় খেয়েও ভাল ঘুমাতে পারেন।


রাতে যদি বেশি ঘুমান, দিনে এমনিতেই তাজা থাকবেন। আর রাতের ঘুম ভাল করতে হলে একদম লাইট একটা ডিনার নিন সন্ধ্যা নামার পরপরই।


সেভাবে চলেন, যেভাবে চলার জন্য আমাদের শরীর ও মনকে তৈরি করা হয়েছে।

©

সুস্থতার জন্য একীন ও মনোযোগের সাথে লেগে থাকাটা জরুরী।

 একটি নসীহাহ...

সুস্থতার জন্য একীন ও মনোযোগের সাথে লেগে থাকাটা জরুরী।

অনেক সাধারণ মানুষ দৃঢ় বিশ্বাস ও মনোযোগের সাথে লেগে থাকার কারণে আল্লাহর রহমতে সুস্থ হয়ে গেছেন।

আর আমার চোখের দেখা বিষয় হলো, অবহেলার কারণে অধিকাংশ মানুষের সুস্থতা বিলম্বিত হচ্ছে।

তাই বিশ্বাস ও মনোযোগ বৃদ্ধি করুন।

এর বিকল্প নেই।

শয়তান দুই প্রকার; মানুষ শয়তান ও জিন শয়তান।

 শয়তান দুই প্রকার; মানুষ শয়তান ও জিন শয়তান।

কোন শয়তান বেশি খারাপ?


মানুষ শয়তান, এটি জ্বীন শয়তানের চেয়েও বেশি বিপজ্জনক। জিন শয়তানের কাজ এবং এর ক্ষতির শীর্ষে রয়েছে ওয়াসওয়াসা, যা সে একজন ব্যক্তির জন্য সর্বাধিক করতে পারে। সে মানুষের জন্য বিভিন্ন জিনিস আকর্ষণীয় করে তোলে । কিন্তু সে আপনার ইচ্ছা ছাড়া আপনাকে অবাধ্যতায় লিপ্ত করতে পারে না। 


আর মানুষ শয়তানদের ক্ষতি ও বিপদ হলো, এরা আপনাকে অনুসরণ করে এবং আপনার সাথে লেগে থাকে এবং কখনো কখনো আপানাকে বাধ্য করে। শয়তান উপাধি প্রত্যেক ঐ মানুষের জন্য প্রযোজ্য, যে মানুষের সামনে কোনো ভালো ও কল্যাণের দরজা বন্ধ করে এবং মানুষের জন্য খারাপের দরজা সমূহের মধ্য থেকে কোন দরজা খুলে দেয়। এভাবে সে নিজে এবং তার চারপাশের লোকদেরকে নিয়ে কল্যান থেকে দূরে সরে যায়।এবং তার চারপাশের লোকদের জন্য অবাধ্যতার কাজ সুসজ্জিত করে দেয়। 


কেননা শয়তান অর্থ সীমালঙ্ঘনকারী।আর এই বৈশিষ্ট্যের মানুষ ও জিন উভয়ের জন্যই এই পরিভাষা ব্যাবহার করা হয়।আজকাল আমাদের চারপাশে মানব শয়তান বেশী। মানুষ শয়তান ও জিন শয়তানদের বিষয়ে আমাদের করণীয় কী ? তা আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য বর্ণনা করেছেন।  


আয়াতে মানব ও অজ্ঞতার প্রদর্শনের মোকাবিলা করার জন্য আমাদের জন্য আমাদের জন্য সর্বশক্তিমান আমাদের মধ্যে রয়েছে।

خُذِ الْعَفْوَ وَأْمُرْ بِالْعُرْفِ وَأَعْرِضْ عَنِ الْجَاهِلِينَ * وَإِمَّا يَنْزَغَنَّكَ مِنَ الشَّيْطَانِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللَّهِ ۚ إِنَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ


আর ক্ষমা করার অভ্যাস গড়ে তোল, সৎকাজের নির্দেশ দাও এবং মূর্খ জাহেলদের থেকে দূরে সরে থাক।

আর যদি শয়তানের প্ররোচনা তোমাকে প্ররোচিত করে, তাহলে আল্লাহর শরণাপন্ন হও তিনিই শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী।

(আল আ'রাফ, আয়াতঃ ১৯৯-২০০)



শয়তানের উপর আক্রমণের উত্তম সময় কোনটা?

 শয়তানের উপর আক্রমণের উত্তম সময় কোনটা?


রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন সৈন্যদল প্রেরণ করতেন , সকালে প্রেরণ করতেন।

আর যদি কোনো সম্প্রদায়কে আক্রমণ করতে চাইতেন ,সকালে করতেন।


إِنَّ مَوْعِدَهُمُ الصُّبْحُ ۚ أَلَيْسَ الصُّبْحُ بِقَرِيبٍ

ভোর বেলাই তাদের প্রতিশ্রুতির (ধ্বংসের)সময়, ভোর কি খুব নিকটে নয়?

(সূরাঃ হুদ, আয়াতঃ ৮১)


 রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘হে আল্লাহ! তুমি আমার উম্মতের জন্য তাদের সকালে বরকত দাও।’’ আর তিনি যখন সেনার ছোট বাহিনী অথবা বড় বাহিনী পাঠাতেন, তখন তাদেরকে সকালে রওয়ানা করতেন। স্বাখর ব্যবসায়ী ছিলেন। সুতরাং তিনি তাঁর ব্যবসার পণ্য সকালেই প্রেরণ করতেন। ফলে তিনি (এর বরকতে) ধনী হয়ে গিয়েছিলেন এবং তাঁর মাল প্রচুর হয়েছিল। 


ইবনু মাজাহ ২২৩৬, আবূ দাউদ ২৬০৬, আহমাদ ১৫০১২, ১৫০১৭, ১৫১২৯, ১৫১৩০, দারেমী ২৪৩৫


 সুতরাং সকালে নিয়মিত আযকারের মাধ্যমে প্রথমে রবের নিরাপত্তা গ্রহণ করুন।তারপর রুক‌ইয়ার অন্যান্য কাজের মাধ্যমে শয়তান ও তার সহযোগী শক্তির উপর প্রবল আক্রমণ করুন।


এই বরকতময় সময়ে এটা নিয়মিত করতে পারলে আপনি নিরাপত্তা, সুস্থতা ও শয়তানের বিরুদ্ধে বিজয় পাবেন বিইযনিল্লাহ।



দ্রুত সুস্থ হতে চান?

 দ্রুত সুস্থ হতে চান?


সুস্থতা ত্বরান্বিত করতে, অন্তরকে পরিশুদ্ধ করুন, তা যদি পরিশুদ্ধ হয়, তবে শরীরের বাকি অংশ পরিশুদ্ধ হয়ে যায়।


আপনার হৃদয়কে বিদ্বেষ, ঘৃণা এবং হিংসা থেকে শুদ্ধ করুন.. এবং আপনার পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন.. এবং এটিকে ভাল বিশ্বাস ,সুধারণা,রবের উপর তাওয়াক্কুল, ইয়াকীন এবং আশাবাদ দিয়ে পূর্ণ করুন। তাহলে হবে কী, শয়তান তার কাছে গেলেও সে আঘাত পাবে..এবং দূরতম সীমা পর্যন্ত তাকে নিক্ষেপ করবে..


মনে করবেন, "আমি যতটা কষ্ট পেয়েছি তার দ্বিগুণ কষ্ট রাসূলগণ ও সালিহীনগণ পেয়েছেন...।" 


তারা ভয় পাননি এবং হতাশ হননি । কারণ তাদের অন্তর সক্রিয় ছিলো, পরিশুদ্ধ ছিলো।




পানি ও হিজামা

 নেতিবাচক শক্তির বড় বাহক হলো রক্ত। কারণ শয়তান রক্ত দিয়ে চলাচল করে। শয়তানের চরিত্র‌ও রক্ত দিয়ে প্রতিফলিত হয়।


ইতিবাচক শক্তির বড় বাহক হলো পানি।

"هذا مغتسل بارد وشراب" 

"এ হলো গোসলের শীতল পানি ও পান করার পানীয়।"

আল্লাহু আ'লাম।


তাই জিন যাদু আক্রান্তদের উচিত বেশী বেশী পানি পান করা ও নিয়মিত গোসল করা এবং সর্বদা ওজু অবস্থায় থাকার চেষ্টা করা।


রক্তকে পরিশোধিত করে আরেকটা জিনিস সেটা হলো হিজামা। তাই সম্ভব হলে প্রতি মাসের সুন্নাহ তারিখে হিজামা করাবেন।

সাদাকার মাধ্যমে অসুস্থতা দূর করুন।

সাদাকার মাধ্যমে অসুস্থতা দূর করুন।


বিখ্যাত হাদীস-বিশারদ আবূ আবদুল্লাহ হাকিম নিশাপুরি (রহ.)। মাসের-পর-মাস একটি রোগে ভুগছিলেন তিনি। বেশ কিছু ফোসকা ছিল চেহারায়। অনেকভাবে চিকিৎসা করিয়েছেন দীর্ঘ এক বছর যাবৎ। কিন্তু আশানুরূপ ফল পাননি।
.
এক জুমাবার তিনি ইমাম আবূ উসমান সাবূনির কাছে যান। খুতবা চলাকালে অনুরোধ করলেন তার জন্য দুআ করতে। ইমাম আবূ উসমান দুআ করলেন। উপস্থিত মুসল্লিরাও শরীক হলো সেই দুআয়।
.
সপ্তাহ খানেক পরের কথা। এক মহিলা একটি চিঠি পাঠান হাকিম (রহ.)-কে। চিঠিতে তিনি জানান, সেদিনের দুআয় তিনিও উপস্থিত ছিলেন এবং তাঁর অসুস্থতা শুনে ব্যথিত হন। পরে বাসায় ফিরে তিনি দুআ করেন তাঁর জন্য। সেদিন সন্ধ্যায় একটি স্বপ্ন দেখলেন তিনি। দেখলেন রাসূল (সা.) বলছেন, আবূ আবদুল্লাহ-কে বলো, সে যেন মুসলিমদের জন্য পানির ব্যবস্থা করে।’
.
চিঠিটি হাকিমকে দেখানো হলে তিনি তাৎক্ষণিক নিজের বাগানে যান। সেখানে একটি পুকুর খনন করে তাতে বরফ ছেড়ে দেন এবং জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেন। এরপর কী হলো?
.
এক সপ্তাহ যেতে-না-যেতেই তার ফোসকা নিরাময় হতে শুরু করল। এবং একপর্যায়ে তা সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে গেল। তার চেহারা পূর্বের অবস্থায়ফিরে আসে। পরবর্তীকালে আরও কয়েক বছর বেঁচে ছিলেন তিনি।’
.
দান-সদাকা—এ এমন এক ঔষধ, অধিকাংশ ডাক্তারই ভুলে যান রোগীদের প্রেসক্রিপশনে লিখতে।
.
এরকম আরেকটি ঘটনা আমরা লেখক শাইখ আলি ফীফীর 'লি আন্নাকাল্লাহ' বইতেও পাই। তিনি তার এক বন্ধুর গল্প শুনিয়েছেন এতে:
.
একদিন মাসজিদে যাবার পথে তিনি অ্যাক্সিডেন্ট করেন। তার দুই বছরের ভাগ্নির ওপর চাকা উঠে যায়। বাচ্চাটিকে বের করে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে ছুটে যান তিনি। কিন্তু এর মধ্যে মৃত্যু ছুঁইছুঁই অবস্থা। ডাক্তাররা চেকাপ করে পরিবারকে জানান, বাচ্চাটির মৃত্যুর সম্ভাবনা ৮০%!
.
এ অবস্থায় তাদের এক আত্মীয় উপদেশ ও সান্ত্বনা লাভের আশায় একজন তলিবে ইলমকে ফোন করে। ঘটনা শুনে সেই তলিবে ইলম বলে, ‘একটি পশু যবেহ করুন এবং মেয়েটির সুস্থতার নিয়ত করে এর মাংস বিতরণ করে দিন।’ তারা সেটাই করল। তারপর সেই বন্ধুটি বলেন, ‘ভোর হতে-না-হতেই আমার ভাগ্নি একদম সুস্থ অবস্থায় হাসপাতাল থেকে রিলিজ পেয়ে যায়।’
.
ইমাম ইবনুল কাইয়িম (রহ.) বলেন, ‘বিভিন্ন প্রকারের বিপদ-আপদ দূরীকরণে দান-সদাকার প্রভাব বিস্ময়কর; দানকারী যদিও পাপী, জালিম কিংবা কাফির।’
.
'কলবুন সালীম' বই থেকে।



সাদাকার মাধ্যমে অসুস্থতা দূর করুন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন তোমাদের রোগীদেরকে সাদাকার মাধ্যমে চিকিৎসা করো।
সহিহু জামে,৩৩৫৮



বাচ্চাদের ছবি শেয়ার করবেন না

ছবি রোগ!

আমার পরিচিত এক অল্প বয়সী বাবা তার সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া বাচ্চার ছবি ফেসবুকে আপলোড দিলেন। বাচ্চাটা বেশ নাদুস-নুদুস ছিল। আমি ছবিটা দেখেই উনাকে নক দিলাম। বদনজরের ভয়াবহ ক্ষতি সম্পর্কে সতর্ক করলাম। কিন্তু তিনি আমার কথা শুনেন নি ।কিছুদিন পরপরই বাচ্চার ছবি বিভিন্নভাবে ফেসবুকে শেয়ার দিচ্ছিলেন।

কয়েক মাস পরই বাচ্চা মায়ের দুধ পান সম্পূর্ন বন্ধ করে দেয়। তখন আমার কাছে নিয়ে আসে রুকইয়া করার জন্য। রুকইয়া করে দিয়েছি। কিন্তু বাচ্চাটা আগের মত আর সুস্থ হয়নি। সেই নাদুস নুদুস স্বাস্থ্য আর ফিরে পায়নি। 

গতকাল তিনি বাচ্চাটার ছবি আবার ফেসবুকে আপলোড দিয়েছেন। বাচ্চাটা কেমন শুকিয়ে গেছে, তারপরও বাচ্চাটার বাবার শিক্ষা হচ্ছে না। আমরা যারা বদনজরের ভয়াবহতা সম্পর্কে জানি,স্বাভাবিকই এটা দেখে আমাদের মেজাজটা তখন চরম খারাপ হওয়ার কথা।


আপনি যদি এই দুটো জিনিসকে নিত্যসঙ্গী বানাতে পারেন আপনার সকল সমস্যা দূর হয়ে যাবে —

আপনি যদি এই দুটো জিনিসকে নিত্যসঙ্গী বানাতে পারেন আপনার সকল সমস্যা দূর হয়ে যাবে —

১. ইস্তিগফার 
২. দূরুদ

ওয়াল্লাহি! আমি একটু ও বাড়িয়ে বলছি না, এক সপ্তাহ করে দেখুন আপনার হৃদয় প্রশান্ত হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। 
#Dawah

"দুর্ভাগ্যজনকভাবে সাইকোলজিস্ট ও সাইক্রিয়াটিস্টদের অধিকাংশ ট্রেনিং পদ্ধতি সেক্যুলার চিন্তাধারার। পশ্চিমা দেশে প্রশিক্ষণ শেষে যখন তারা মুসলিম প্রধান দেশে প্র্যাকটিস শুরু করেন, তখন দেখা দেয় নানা রকম সমস্যা। কেননা চিকিৎসকের দেয়া কাউন্সেলিং এর সাথে ক্লায়েন্টের চাহিদার একটা অসামঞ্জস্য রয়েই যায়।"

বই-সাইকোলজি:ইসলামি দৃষ্টিকোণ



আপনি কি বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন? কিন্তু কোন সমাধানই খুঁজে পাচ্ছেন না? তাহলে শুনুন _

"আত্মিক, শারীরিক, দুনিয়াবি ও পরকালীন যাবতীয় রোগের জন্য কুরআন হচ্ছে পরিপূর্ণ শিফা (আরোগ্য দানকারী ওষুধ)। "

_ ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ) 
 [যাদুল মা'আদ: ৪/১১৯ ]। 

#Dawah

হতাশা দুঃখ এগুলো কখনো চিরজীবন থাকবে না এগুলো একদিন না একদিন চলে যাবে কিন্তু সেটা কোনদিন?

যেদিন থেকে আপনি একনিষ্ঠ ভাবে মেনে নিবেন যা হবার তাই হয়েছে এবং এটা আপনার জন্য কল্যাণকর, আর ভবিষ্যতে যা হবে তা আপনার কপালে লিখা আছে এর বাইরে আপনি কিছু অর্জন ও করতে পারবেন না কিছু হারাতেও পারবেন না এবং যা হবে তাও আপনার জন্য কল্যাণকর হবে।

তাই পরিপূর্ণ বিশ্বাস রাখুন আল্লাহর সিদ্ধান্তের উপর তার থেকে বড় দয়াবান ও মহাপরিকল্পনাকারী কেউই নেই।

ইবনুল-কাইয়্যিম রহ. বলেন ━ “দেখে নিও, জীবনের দেয়ালে ঝুলে থাকা দুঃখগুলো মুছে যাবে, হতাশাগুলো অনেক দূরে চলে যাবে। বেদনারা অজানায় বাসা বাধঁবে, নিরাশাগুলো বিদায় নিবে ঠিক সেদিন — যেদিন তুমি মন থেকে মেনে নিতে পারবে যে, জীবনে যা হবার তাই হয়েছে। আর ভবিষ্যতে কপালে যা লিখা আছে, তাই হবে। দুঃখ আর আফসোস করে লাভ নেই। পেরশানী আর দুঃখ করে কখনো কপালে লিখিত জিনিস পাল্টানো যায় না।” 

#Dawah

সব সমস্যার এক সমাধান!

সব সমস্যার এক সমাধান!
.
একবার বিখ্যাত তাবেঈ হাসান বাসরি (রাহ.) বসা ছিলেন। একজন লোক এসে বললেন, জনাব! আমি জীবনে অনেক গুনাহ করেছি, কীভাবে আমার জীবনের সব গুনাহ মাফ করাতে পারবো?
তিনি বললেন, "যাও এবং ইস্তিগফার (আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা) করো।"
.
একজন লোক এসে বলল, অনেকদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে না, এমন কোন আমল বলে দিন যা করলে আল্লাহ বৃষ্টি দিবেন।
তিনি বললেন, "যাও এবং ইস্তিফগার করো।"
.
একজন লোক এসে বলল, আমি ঋণে জর্জরিত। আমি কাজ করছি, আপনি আল্লাহর কাছে দুয়া করুন যেন তিনি আমাকে সম্পদ দান করেন এবং আমি ঋণমুক্ত হতে পারি।
তিনি বললেন, "যাও এবং ইস্তিগফার করো।"
.
একজন লোক এসে বলল, আমি চাই আল্লাহ যেন আমাকে সন্তান দান করেন। আপনি দুয়া করুন।
তিনি বললেন, "যাও এবং ইস্তিগফার করো।"
.
একজন লোক এসে বলল আমার একটি বাগান আছে। আপনি দুয়া করুন যেন আমার বাগানে আল্লাহ ফল বেশি করে দেন।
তিনি বললেন, "যাও এবং ইস্তিগফার করো।"
.
একজন লোক এসে বলল, আমার ঘরে যদি পানি থাকতো তাহলে খুব ভালো হতো।
তিনি বললেন, "যাও এবং ইস্তিগফার করো।"
.
হাসান বাসরি (রাহ.)-এর এক ছাত্র পাশেই বসা ছিলেন। তিনি এসব দেখে চিন্তা করতে লাগলেন, “কেন সবাইকেই হযরত বিভিন্ন সমস্যার একই সমাধান বলছেন?!”।
ছাত্রটি হাসান বাসরিকে জিজ্ঞেস করলেন, কেন আপনি সকল সমস্যার একটাই সমাধান দিচ্ছেন?
হাসান বাসরি (রাহ.) মুচকি হেসে বললেন, কেন বেটা! তুমি কি আল্লাহ তাআলার এই বাণী পড়নি?-

فَقُلْتُ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ إِنَّهُ كَانَ غَفَّارًا

অতঃপর বলেছি, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল।

يُرْسِلِ السَّمَاء عَلَيْكُم مِّدْرَارًا

তিনি তোমাদের উপর অজস্র বৃষ্টিধারা বর্ষণ করবেন,

وَيُمْدِدْكُمْ بِأَمْوَالٍ وَبَنِينَ وَيَجْعَل لَّكُمْ جَنَّاتٍ وَيَجْعَل لَّكُمْ أَنْهَارًا

তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বাড়িয়ে দিবেন, তোমাদের জন্যে উদ্যান স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্যে নদীনালা প্রবাহিত করবেন। [সূরা নূহ: ১০-১২]
.
মুসলিম আন্দালুসের (স্পেনের) সুপ্রসিদ্ধ মুফাসসির ইমাম কুরতুবি রাহিমাহুল্লাহ তাঁর তাফসির "আল জামি' লি-আহকামিল কুরআন"-এ উক্ত ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন।
.
হাফিয ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহ.) বলেন,
"ইস্তিগফার (আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা) হলো সবচেয়ে বড় নেককাজগুলোর অন্যতম; এর ব্যাপ্তি এতো বেশি যে, যখনই কেউ নিজের ইবাদাত, কথা ও কাজে ত্রুটি খুঁজে পায় অথবা তার রিযিকে স্বল্পতা পায় কিংবা তার হৃদয় থকে অশান্ত, তার উচিত তৎক্ষণাত ইস্তিগফারে লেগে যাওয়া।"
[মাজমূ'উ ফাতাওয়া: ১১/৬৯৮]
'
ইস্তিগফার এভাবে করতে পারেন--
* শুধু أستغفر الله "আসতাগফিরুল্লাহ" (বেশি পরিমাণে বলতে থাকা)
* أستغفر الله الذي لا إلاه إلا هو الحي القيوم وأتوب إليه
আসতাগফিরুল্লা-হাল্লাযি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়ুল ক্বাইয়ূমু ওয়া আতূবু ইলাইহি।
* أستغفر الله وأتوب إليه
আসতাগফিরুল্লাহা ওয়া আতূবু ইলাইহি।
* رب اغفر لي وتب علي إنك أنت التواب الرحيم
রাব্বিগ ফিরলি ওয়া তুব 'আলায়্যা, ইন্নাকা আনতাত তাও-ওয়াবুর রাহীম।
.
[আরবি টেক্সট এর সাথে মিলিয়ে উচ্চারণ করুন, না হয় শুদ্ধ উচ্চারণ করতে পারবেন না।]
.
সর্বোত্তম ইসতিগফার হলো, সাইয়িদুল ইসতিগফার। সেটি সকাল এবং রাতে অর্থ বুঝে মনযোগসহ পড়লে এবং সেদিন রাতে বা দিনে ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করলে আল্লাহ্ তাকে জান্নাত দিবেন। [সহিহ বুখারি: ৬৩০৬]
আল্লাহ্ তা'আলা আমাদের ইসতিগফারময় জীবন যাপনের তাওফিক দান করুন। আমিন।

সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার:

((اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ )
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আনতা রববী লা ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্বতানী, ওয়া আনা ‘আবদুকা ওয়া আনা ‘আলা ‘আহদিকা ওয়া ওয়া‘দিকা মাসতাত্বা‘তু, আ‘ঊযুবিকা মিন শার্রি মা ছানা‘তু। আবূউ লাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়া ওয়া আবূউ বিযাম্বী ফাগফিরলী ফাইন্নাহূ লা ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা।

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার পালনকর্তা। তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমার দাস। আমি আমার সাধ্যমত তোমার নিকটে দেওয়া অঙ্গীকারে ও প্রতিশ্রুতিতে দৃঢ় আছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট হ’তে তোমার নিকটে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আমার উপরে তোমার দেওয়া অনুগ্রহকে স্বীকার করছি এবং আমি আমার গোনাহের স্বীকৃতি দিচ্ছি। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা কর। কেননা তুমি ব্যতীত পাপসমূহ ক্ষমা করার কেউ নেই’।

সূত্র : বুখারী, মিশকাত হা/২৩৩৫ ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯, ‘ইস্তিগফার ও তওবা’ অনুচ্ছেদ-৪।

- সংগৃহীত







এই ব‌ইটা না পড়ে থাকলে পড়েন

রুকয়ার ধারাটা পরিচিত হতে একটু সময় লাগবে। রুকইয়া যতই প্রচার-প্রসার হবে , কবিরাজদের চাহিদা ততই কমে আসবে।
প্যারানরমাল সমস্যায় মানুষ তখন আর কবিরাজের কাছে যাবে না। 
বেদেদের এক সময় বেশ গুরুত্ব থাকলেও এখন বেদেরা ভিক্ষা করে। কারণ মানুষের নিকট তাদের এখন কোনো মূল্যই নেই। ঠিক তদ্রূপ এই কবিরাজ জাদুকররাও একসময় মূল্যহীন হয়ে পরবে ইনশাআল্লাহ। এখনো অধিকাংশ মানুষ , কবিরাজ যাদুকরদেরকে ফ্রড হিসেবেই জানে না। অধিকাংশ মানুষ মনে করে কবিরাজ জাদুকররা হয়তো হালাল কোন উপায়ে এসব করে। অথচ তারা কঠিন কঠিন কুফরীতে লিপ্ত।
নাসরুম মিনাল্লাহ।

এই ব‌ইটা না পড়ে থাকলে পড়েন।
আর রুক‌ইয়াহ সাধ্যমতো প্রচার করেন।

নাম লিখে সার্চ করলে পিডিএফ লিংক পাবেন।




রিজিক বৃদ্ধি করতে চান? এই নেন রিজিক বৃদ্ধির সূত্র!

রিজিক বৃদ্ধি করতে চান? এই নেন রিজিক বৃদ্ধির সূত্র!

আসমা বিনতু আবূ বাকর রাযিয়াল্লাহু ‘আনহু সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! (আমার স্বামী) যুবাইর (রাঃ) ঘরে যা উপার্জন করে নিয়ে আসেন তা ছাড়া অন্য কোনো মাল আমার নেই। সুতরাং আমি কি তা থেকে সাদাকা করতে পারি? তিনি বললেনঃ সাদাকা করো, ধরে রেখো না, তাহলে তোমার (রিযিক্ব) ধরে রাখা হবে।

বুখারী (অধ্যায় : যাকাত, হাঃ ১৪৩৪), মুসলিম (অধ্যায় : যাকাত)।



কখনোই সকাল সন্ধ্যার মাসনুন যিকির গুলো ত্যাগ করবেন না।

কখনোই সকাল সন্ধ্যার মাসনুন যিকির গুলো ত্যাগ করবেন না। সকাল- সন্ধ্যার যিকির গুলো করার মাধ্যমে আপনি পাবেন একটি প্রাণবন্ত দিন।আপনি হয়ে উঠবেন উচ্ছল, আত্মবিশ্বাসী। 

শাইখ আহমেদ মূসা জিব্রীল হাফিযাহুল্লাহ্ বলেনঃ

“সকাল-সন্ধ্যার মাসনুন যিকির গুলো হলো বর্মের (যুদ্ধের অস্ত্র;আত্মরক্ষার্থে ব্যবহৃত হয়) মত। যতো বেশি যিকির তত বেশি শক্ত বর্ম।
আপনি এই বর্মকে এতোটাই শক্ত করতে পারেন যেন আপনার দিকে ছুঁড়ে দেওয়া তীর বর্মে প্রতিহত হয়ে উলটো নিক্ষেপকারীকে আঘাত করে।”

ইমাম ইবনে তাইমিয়্যা রাহিমাহুল্লাহ্ বলেনঃ

“সকাল সন্ধ্যার যিকির হলো আমার সকালের নাস্তার মত,এটা আমার আত্মার খাদ্য,এটা ছাড়া আমার শরীর অবসন্ন হয়ে যাবে। এটি আমাকে সারাদিন চলার শক্তি জোগায়।
যদি সকালে আমি আমার রসদ না পাই,তাহলে সারাদিনই আমি দুর্বল হয়ে থাকবো।’’

#Dawah


কুফরী তাবিজ

এই যে তাবিজে ব্যাবহারের পক্ষে যারা এত জোরালো অবস্থান নিয়ে থাকে।কুফরী তাবিজ ওয়ালাদের বিপক্ষে এমন জোরালো অবস্থান কখনো এরা নেয়? 
কুফরি তাবিজ ব্যবসায়ীদের মুখোশ উন্মোচনে কখনো দুই লাইন লিখে প্রতিবাদ জানায়?

কুফরী-শিরকী তাবিজের এই বইগুলো দিয়েই বছরের-পর-বছর বাংলাদেশের ভন্ড আলেমরা তাবিজ ব্যবসা করে আসছে। তাবিজের পক্ষে যারা জোরালো অবস্থান নিয়ে কথা বলে তাদেরকে তো কিন্তু এই সব কফরি শিরকি বইগুলোর ব্যাপারে মুখ খুলতে দেখিনা।



পাপ ছেড়ে তাওবা করতে হবে।

 পাপ ছেড়ে তাওবা করতে হবে।

অনেকে সুস্থ হওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে থাকেন। বার বার রুকইয়া করতে চান।
কী করলে সুস্থ হবেন, একান্তভাবে চিন্তা করেন, আমাদের নিকট পরামর্শ চান। আমরাও সর্বাত্মক চেষ্টা করি তিনি যেনো সুস্থ হন। এতো করে বুঝিয়ে দেই, ইচ্ছকৃতভাবে হারামের সাথে জড়িত থাকলে সুস্থ হতে দেরি হবে।
পরামর্শ দেই সব রকম হারামের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার। সব রকম হারাম কাজ ও অভ্যাস বর্জন করার। সব বুঝিয়ে দেওয়ার পরও এবং কাজটা যে অন্যায় সেটা জানার পরেও,যখন দেখি কোনো মেয়ে পেশেন্ট এফবিতে বেপর্দা ছবি আপলোড দিচ্ছেন। যখন দেখি হারামে জড়িয়ে জীবন যাপন করছেন। তখন যে মনটা কত খারাপ হয়, তা কী করে বুঝাই? আমাদের কী হবে? কিছুই না। নিজের পাপের কারণে নিজেই অসুস্থতা ও পেরেশানি ভুগেন। আমাদের হৃদয় নিংড়ানো পরামর্শ গুলো যখন বর্জন করেন, তখন মনে খুব কষ্ট পাই,এটাই।

দুনিয়া এবং আখেরাতে যদি নিরাপত্তা চান তবে সব হারাম কাজ ছেড়ে, রবের দিকে ফিরে আসুন।
يَا أَيُّهَا الْإِنْسَانُ مَا غَرَّكَ بِرَبِّكَ الْكَرِيمِ
 হে মানুষ, কিসে তোমাকে তোমার মহামহিম পালনকর্তা সম্পর্কে বিভ্রান্ত করল?
(সূরাঃ আল ইনফিতার, আয়াতঃ ৬)

একটা লাভজনক ব্যবসায় বিনিয়োগ

আপনাদের একটা লাভজনক ব্যবসায় বিনিয়োগের বুদ্ধি দেই যা থেকে শুধু লাভই পাবেন।

ক্যান্সারে আক্রান্ত মা মারা যাওয়ার আগে প্রতি মাসে ওনার চিকিৎসার পেছনে ২০/২৫ হাজার টাকা খরচ হতো। টাকাগুলো ভাই বোন মিলে শেয়ার করতাম।
মা মারা যাওয়ার পরে দেখা গেল সেই টাকা সেভিংস হচ্ছে না। অথচ পরিবারের এক্সট্রা কোন খরচ নাই। পরে খেয়াল করলাম আমাদের ইনকামই কমে গেল। অর্থাৎ মা ওনার রিযিক নিয়ে চলে গেছেন।

গত আগস্টের প্রথম দিকে আমার মারা গেলেন। আগস্ট, সেপ্টেম্বর অক্টোবর মোট ৩ মাস আমার বলতে গেলে কোন ইনকাম ছিল না।

৩ মাস পরে নড়েচড়ে বসলাম। আমি আগে এমন কী করতাম যাতে আমার ইনকাম ভালো ছিল আর এখন কী করি যার ফলে ইনকাম নেই!

খেয়াল করে দেখলাম আমি দান করা প্রায়ই বন্ধ করে দিয়েছি। মূলত মায়ের শেষ দিকের চিকিৎসা খরচ বেড়ে যাওয়ায় (শেষ ৩ দিনে হাসপাতাল বিলই ছিল ৭০ হাজার টাকা সহ দাফন মিলিয়ে লাখ টাকা চলে গেছিল) সেই ঋণ শোধ করতে গিয়ে কীভাবে যেন দান সদকা করা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

অক্টোবর থেকে আমি আবার দান খয়রাত করা শুরু করলাম। আলহামদুলিল্লাহ, আমার টানাটানি দূর হতে লাগল। ডিসেম্বর জানুয়ারিতে পকেটে এমন পরিমান টাকা আসল যে ৩ মাসের লস উঠে আসল। গত বছর মে মাসে বৌ গয়না বেচা ৭৫ হাজার টাকা আমাকে দিয়েছিল, সেটাও শোধ করলাম। একে একে পাওনাদার ইনভেস্টর সবাইকে ডেকে ডেকে বললাম টাকা লাগবে কিনা। যারা টাকা চেয়েছেন তাদেরকে টাকা ফেরত দিলাম। যারা চায়নি তাদেরকে শুধু লাভের অংশ দিলাম। বোনের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা ধার নিয়েছিলাম বছরখানেক আগে, সেটাও ফেরত দিলাম।

আসলে মা মারা যাওয়ার সময় যখন ওনার রিযিক নিয়ে চলে গেছেন আমার তখনই উচিৎ ছিল সেই খরচটা কন্টিনিউ রাখা। আমার মা নেই তো কী হইছে, দুনিয়ায় প্রচুর বিপদগ্রস্ত মানুষ আছেন যাদের সাহায্য দরকার।

এখনো প্রতি মাসে মায়ের জন্য একটা বাজেট থাকে। খেয়াল করলাম যে মাসে বাজেট বেশি থাকে সেই মাসে ইনকাম বেশি থাকে। এই হিসাব কোন একাউন্ট অডিট ফার্ম মিলিয়ে দিতে পারবে না। এই হিসাব কোন অংক দিয়ে মিলানো যাবে না। এই হিসাব সাইন্স কমার্স সব কিছুর উর্ধে।

কী? করবেন এই ব্যবসা? বিফলে মূল্য ফেরত!

ফখরুল ইসলাম ভাই।



রুক‌ইয়াহ চিকিৎসা প্রচার করতে হবে।

রুক‌ইয়াহ চিকিৎসা বেশি বেশি প্রচার করতে হবে।

আলহামদুলিল্লাহ, এই রুকইয়াহর উসিলায়
মানুষ রাক্বীদের দ্বারস্থ হয়। আর এ সুযোগে তাদেরকে বানোয়াট দোয়া-দুরুদ ও আযকার থেকে ফিরিয়ে মাসনুন আযকার এর প্রতি উৎসাহিত করার তাওফিক হচ্ছে। ব্যক্তি ও পারিবারে যেন হালাল হারাম মেনে চলা হয়, এ ব্যাপারে দু-চার কথা বলার সুযোগ হচ্ছে। একজন মানুষ বিপদে আক্রান্ত হয়ে যখন একজন রাক্বীর দ্বারস্থ হয়, এটাই সুযোগ তাঁকে দ্বীনের পথে ফিরিয়ে আনার। একজন রাক্বীর উচিত হবে এই সুযোগটাকে গনিমত মনে করে কাজে লাগানো, তাকে দিনের দাওয়াত দেওয়া এবং তার হেদায়েত ও সুস্থতা কামনা করে আল্লাহর নিকট দোয়া করা।
আল্লাহ তা'আলা সকল রাক্বীদেরকে তৌফিক দান করুন।



চারটি জিনিসে রিযিক বৃদ্ধি পায়

চারটি জিনিসে রিযিক বৃদ্ধি পায়ঃ

১. কিয়ামুল লাইল।

২.ফজরের পূর্বের ইস্তিগফার।

৩.পর্যাপ্ত পরিমান দান-সদকা।

৪.দিনের শুরুতে এবং শেষে আল্লাহকে স্মরণ করা।

চার জিনিস রিযিকের প্রতিবন্ধকঃ

১.ফজরের পর ঘুমানো।

২.সালাতে অমনোযোগী এবং উদাসিনতা।

৩.অলসতা (দ্বীন এবং দুনিয়াবি কাজে)

৪. বিশ্বাসঘাতকতা।

- ইবনুল কাইয়্যিম রাহিমাহুল্লাহ্
[যাদুল মাআ'দঃ৩৭৮/৪]

#Dawah

নামাজি হয়েও ওরা শয়তানের ভাই। আল্লাহ সকলকে ক্ষমা করুন।

নামাজি হয়েও যারা শয়তানের ভাই। আল্লাহ সকলকে ক্ষমা করুন।

অধিকাংশ নামাজী ওজু গোসলের সময় পানি অপচয়ের হারামে জড়িত।আল্লাহর ভাষায় তারা হলো ইখ‌ওয়ানুশ শাইয়াত্বীন বা শয়তানের ভাই।আর ওয়াস‌ওয়াসার রোগীদের তো কথাই নেই,এক অঙ্গ বার বার ধৌত করতে থাকে।আল্লাহ তাআলা সকলকে ক্ষমা করুন।

এবার শোনেন রাসূলুল্লাহ ﷺ এর অভ্যাস কী ছিলো:

আনাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সা‘ (৪ মুদ) হতে পাঁচ মুদ পর্যন্ত পানি দিয়ে গোসল করতেন এবং উযু করতেন এক মুদ দিয়ে। (মুসলিম ৩/১০, হাঃ ৩২৫, আহমাদ ১৪০০২, ১৪০৯৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৯৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২০১)

 بَاب الْوُضُوءِ بِالْمُدِّ حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ، قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ جَبْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسًا، يَقُولُ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَغْسِلُ ـ أَوْ كَانَ يَغْتَسِلُ ـ بِالصَّاعِ إِلَى خَمْسَةِ أَمْدَادٍ، وَيَتَوَضَّأُ بِالْمُدِّ‏.‏‏ 

নোট: ১ মুদ = ৬০০ গ্রাম, চার মুদ = ১ সা‘ অর্থাৎ প্রায় আড়াই কেজির পাত্র বিশেষ। তবে শস্যের তারতম্যের কারণে ওজনের তারতম্য ঘটে। 

গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ৪/ উযূ (كتاب الوضوء)
হাদিস নম্বরঃ ২০১

অনেকে অজুর অঙ্গ সমূহ তিনবারের বেশী ধোয়ার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ ﷺ যা বলেছেন:

১৪০। মাহমূদ ইবন গায়লান (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবন আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন একজন বেদুঈন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর নিকট এসে তাকে উযু সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলেন। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁকে অযুর অঙ্গ তিন-তিনবার ধৌত করে দেখালেন। আর বললেন- এরুপেই করতে হয়। যে ব্যক্তি এর উপর বাড়ালো সে অন্যায় করল, সীমালঙ্ঘন ও যুলূম করল।

 أَخْبَرَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، قَالَ حَدَّثَنَا يَعْلَى، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مُوسَى بْنِ أَبِي عَائِشَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَسْأَلُهُ عَنِ الْوُضُوءِ فَأَرَاهُ الْوُضُوءَ ثَلاَثًا ثَلاَثًا ثُمَّ قَالَ ‏ "‏ هَكَذَا الْوُضُوءُ فَمَنْ زَادَ عَلَى هَذَا فَقَدْ أَسَاءَ وَتَعَدَّى وَظَلَمَ ‏"‏ ‏ 

হাসান সহীহ। ইবনু মাজাহ হাঃ ৪২২  
গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ১/ পবিত্রতা (كتاب الطهارة)
হাদিস নম্বরঃ ১৪০

পানি অপচয় সম্পর্কে আরেকটি হাদিস

وَعَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ مَرَّ بِسَعْدٍ وَهُوَ يَتَوَضَّأُ فَقَالَ مَا هذَا السَّرَفُ يَا سَعْدُ قَالَ أَفِي الْوُضُوءِ سَرَفٌ؟ قَالَ نَعَمْ وَإِنْ كُنْتَ عَلى نَهْرٍ جَارٍ. رَوَاهُ أَحْمَدُ وابن مَاجَةَ

আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর ইবনুল ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সা’দ ইবনু আবি ওয়াক্কাস-এর কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। সে সময় সা’দ (রাঃ) উযূ করছিলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হে সা’দ! এত অপচয় কেন? সা’দ আবেদন করলেন, হে আল্লাহর রসূল! উযূর মধ্যেও কি অপচয় আছে? তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হাঁ আছে। যদিও তুমি প্রবহমান নদীর কিনারায় থাক। [১]

ফুটনোটঃ
[১] হাসান : আহমাদ ২/২২১, ইবনু মাজাহ্ ৪২৫, সিলসিলাহ্ আস্ সহীহাহ্ ৩২৯৩। 

মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ৪২৭
হাদিসের মান: হাসান হাদিস

অপচয় সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন,

إِنَّ الْمُبَذِّرِينَ كَانُوا إِخْوَانَ الشَّيَاطِينِ ۖ وَكَانَ الشَّيْطَانُ لِرَبِّهِ كَفُورًا
অনুবাদঃ নিশ্চয় অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই। শয়তান স্বীয় পালনকর্তার প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ।
(সূরাঃ বনী ইসরাঈল, আয়াতঃ ২৭)

يَا بَنِي آدَمَ خُذُوا زِينَتَكُمْ عِنْدَ كُلِّ مَسْجِدٍ وَكُلُوا وَاشْرَبُوا وَلَا تُسْرِفُوا ۚ إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْمُسْرِفِينَ
বাংলা অনুবাদঃ হে বনী-আদম! তোমরা প্রত্যেক নামাযের সময় সাজসজ্জা পরিধান করে নাও, খাও ও পান কর এবং অপব্যয় করো না। তিনি অপব্যয়ীদেরকে পছন্দ করেন না।
(সূরাঃ আল আ'রাফ, আয়াতঃ ৩১)

সুতরাং কেউ যদি ওয়াস‌ওয়াসার রোগী বা শয়তানের ভাই না হতে চায় তাহলে সে যেনো অবশ্যই রাসূলুল্লাহ ﷺ কে অনুসরণ করে পরিমিত পানি ব্যবহার করে।

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তাওফীক দান করুন। আমিন।



তাওবা করতে দেরী করা, এটা আরেক সমস্যা।

তাওবা করতে দেরী করা, এটা আরেক সমস্যা।
আজ‌ই তাওবা করুন এবং অব্যাহত তাওবা করুন।
তাওবা-ইসতেগফার বিপদ মুসিবত, অসুস্থতা, অভাব, পেরেশানি দূর করে।

"অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন, যারা ভূলবশতঃ মন্দ কাজ করে, অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে; এরাই হল সেসব লোক যাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, রহস্যবিদ।"
(কুরআন ৪: ১৭)

আর এমন লোকদের জন্য কোন ক্ষমা নেই, যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে, এমন কি যখন তাদের কারো মাথার উপর মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন বলতে থাকেঃ আমি এখন তওবা করছি। আর তওবা নেই তাদের জন্য, যারা কুফরী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আমি তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি
(কুরআন ৪:১৮)

আল্লাহ তোমাদের প্রতি ক্ষমাশীল হতে চান, এবং যারা কামনা-বাসনার অনুসারী, তারা চায় যে, তোমরা পথ থেকে অনেক দূরে বিচ্যুত হয়ে পড়।
(কুরআন ৪: ২৭)

আল্লাহ তোমাদের বোঝা হালকা করতে চান। মানুষ দুর্বল সৃজিত হয়েছে।
(কুরআন ৪: ২৮)



লোক দেখানোর নিয়ত না থাকলে প্রকাশ্যে দান করাটা অন্যায় কিছু নয়।


লোক দেখানোর নিয়ত না থাকলে প্রকাশ্যে দান করাটা অন্যায় কিছু নয়।


মহান আল্লাহ বলেন:
إِنْ تُبْدُوا الصَّدَقَاتِ فَنِعِمَّا هِيَ ۖ وَإِنْ تُخْفُوهَا وَتُؤْتُوهَا الْفُقَرَاءَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكُمْ ۚ وَيُكَفِّرُ عَنْكُمْ مِنْ سَيِّئَاتِكُمْ ۗ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ
 যদি তোমরা প্রকাশ্যে দান-খয়রাত কর, তবে তা কতইনা উত্তম। আর যদি খয়রাত গোপনে কর এবং অভাবগ্রস্তদের দিয়ে দাও, তবে তা তোমাদের জন্যে আরও উত্তম। আল্লাহ তা’আলা তোমাদের কিছু গোনাহ দূর করে দিবেন। আল্লাহ তোমাদের কাজ কর্মের খুব খবর রাখেন।
(সূরাঃ আল বাকারা, আয়াতঃ ২৭১)

অনেকের ভুল ধারণা হলো,প্রকাশ্যে দান করলে সাওয়াব হবে না। উপরে জানলাম তাদের ধারণা হলো ভুল।
উপরের আয়াতে আরেকটি জিনিস জানলাম, সাদাকা গুনাহ মোছন করে।

আর সাদাকাহ বিপদ দূর করে এটা তো আমরা অনেক হাদিস থেকেই জানি।

তাই প্রকাশ্যে গোপনে অব্যহত সাদাকা করা উচিত।

যাদুর ধ্বংসের চিকিৎসায় এই গোসল এবং পানি পান করা খুবই উপকারী।

যাদুর চিকিৎসায়
বরই পাতার গোসল ও বর‌ই পাতার পানি পান করা।
------------------

যাদুর ধ্বংসের চিকিৎসায় এই গোসল এবং পানি পান করা খুবই উপকারী।

বর‌ই পাতার পানি রেডি করার পদ্ধতি।

আধা লিটার বা এক লিটার মানে আপনি একবারে যতটুকু পানি পান পান করতে পারবেন ততটুকুই নিন।
সাতটা তাজা বর‌ই পাতা ব্লেন্ড করে বা বেটে এই পানিতে মিশিয়ে নিন।এরপর তাতে
দুরুদ, ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, ইখলাস, ফালাক, নাস, শেষে আবার দূরুদ সব তিনবার/পাঁচবার/সাতবার করে পডুন এবং পড়ার মাঝে মাঝে পানিতে ফু দিন।এরপর সেই পানি পুরোটা পান করুন। ইনশাআল্লাহ পেটের জাদু নষ্ট হয়ে যাবে।

গোসলের পদ্ধতি 
---------------------
এক বালতি গোসলের পানি নিন। এরপর সাতটি তাজা বরই পাতা ব্লেন্ড করে বা বেটে, পানিতে গুলান। আর পড়ুন-
এরপর তাতে
দুরুদ, ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, ইখলাস, ফালাক, নাস, শেষে আবার দূরুদ সব তিনবার/পাঁচবার/সাতবার করে পড়ুন
এবং পড়ার মাঝে মাঝে পানিতে ফুঁ দিন। এরপর এখান থেকে তিন ঢোক পানি পান করুন, বাকিটা দিয়ে গোসল করুন।
ইনশাআল্লাহ প্রথম গোসলেই বদনজর হাসাদ , যাদু নষ্ট হয়ে যাবে। প্রয়োজনে একই নিয়মে তিনদিন/পাঁচদিন/সাতদিন গোসল করুন।

উল্লেখ্য, এই পানি গরম করবেন না, এর সাথে অন্য পানি মিশাবেন না। আর আপনি চাইলে সাথে যাদু নস্টের প্রসিদ্ধ আয়াতগুলো এবং দোয়া পড়তে পারেন।

আল্লার রহমতে জাদু টোনা ও নজর হাসাদের চিকিৎসায় এই গোসল খুবই উপকারী। বিভিন্ন যুগের অনেক বিখ্যাত আলেমদের এবং সারা বিশ্বের রাকীদের সাজেস্টেড পদ্ধতি এটা। আপনারাও চাইলে পরীক্ষা করতে পারেন। আল্লাহ ভরসা!




যাদুর চিকিৎসায় সোনাপাতার আশ্চর্য কার্যকারিতা!!

 যাদুর চিকিৎসায় সোনাপাতার আশ্চর্য কার্যকারিতা!!

.

যাদেরকে স্বপ্নে জিন শয়তানরা খাওয়ায় তাদের জন্য 

পেটের যাদুর চিকিৎসায় বিশেষভাবে। আর সাধারণভাবে পুরো শরীরের যাদুর চিকিৎসায় সোনাপাতার আশ্চর্য কার্যকারিতা রয়েছে।

.

হাদিসে সোনাপাতা সম্পর্কে যা বলা হয়েছে :

আসমা বিনেত উমাইস (রা.) থেকে বর্ণিত। রসুলুল্লাহ (সা.) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তুমি জুলাবের জন্য কী ব্যবহার কর? তিনি শিবরমের নাম বললেন। তখন রসুলুল্লাহ(সা.) বললেন ‘এটা খুবই গরম।’ অতএব হজরত আসমা (রা.) পুনরায় আরজ করলেন, ‘আমি সোনাপাতা দ্বারা জুলাব নেই।’ তখন রসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করলেন, ‘যদি কোনো জিনিসের দ্বারা মৃত্যু থেকে রক্ষা পাওয়া যেত তবে তা সোনাপাতার দ্বারা পাওয়া যেত।’ তোমরা অবশ্যই সোনাপাতা ব্যবহার করবে, কেননা এটা মৃত্যু ব্যতীত সব রোগের শেফাদানকারী মহৌষধ।’ – ( আত-তিরমিযী, হাদিস নং ২০৩১) । 


সোনা পাতা খাওয়ার নিয়ম:


প্রতিদিন চা চামচে এক চামচ গুড়া রাতে এক গ্লাস গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে।

সকালে আবার অল্প পরিমান গরম পানি তাতে মিশিয়ে চায়ের মত পান করতে হবে। প্রথমে টানা ৩-৫দিন খাবে,যেনো পেট থেকে যাদুর বিষাক্ত জিনিসগুলো বের হয়ে যায়।তারপর থেকে সপ্তাহে দুই বার খাবে। অবশ্যই ব্যবহারের আগে চিকিৎসক বা ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিবেন।


খাবার ৪-৫ ঘণ্টার মধ্যে বাথরুমের আসেপাসে থাকতে হবে।

যে দিন সফর থাকবে সেদিন না খাওয়াই ভালো হবে।


এর পাতা কোষ্ট-কাঠিন্য দূর করতে চমৎকার কাজ করে। শরীরের ওজন কামায়, ও উচ্ছ রক্ত চাপ কামতে সাহাজভ করে।সোনা পাতায় বিদ্যমান এনথ্রানয়েড রেচক হিসেবে কাজ করে এবং হজম প্রক্রিয়াকে প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করে। এতে কোলনের সঞ্চালন উদ্দীপিত হয়। ফলে খুব অল্প সময়ে এবং খুব সহজেই মল দেহ থেকে বাইরে নিষ্কাষিত হয়।


বিরুদ্ধ ব্যবহার/ সতর্কতা:

অন্ত্রের কোন রোগ থাকলে, যেমন-অন্ত্রের প্রদাহ, আলসার, এপেনহিসাইটিস ইত্যাদি এসব ক্ষেত্রে সোনাপাতা ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়া গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে এবং ৫ বছরের নিচের বাচ্চদের এই হার্বস ব্যবহার করা উচিত নয়।


পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া ও সতর্কতা:


দীর্ঘদিন ধরে সোনা পাতা ব্যবহার করলে শরীরে পটাশিয়াম লেভেল কমে যায়। নিম্নলিকিত লক্ষণ গুলো দেখা দিতে পারে-


পেটে ব্যথা

কোষ্ট-কাঠিন্য

লো ব্লাড প্রেশার

গোস্ত পেশীর দূর্বলতা

বমি বমি ভাব

বমি হওয়া

দৃষ্টি ভ্রম

শ্বাস-প্রশ্বাসে ব্যাঘাত ঘটে

হৃদস্পন্দনে পরিবর্তন দেখ দেয়

গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে সোনাপাতা ব্যবহার করা যাবে না।

৫ বছরের নিচের বাচ্চদের এই হার্বল ব্যবহার করা উচিত নয়।


গাছটি মুলত উয্মমণ্ডলীয়। সসুদান, সোমালিয়া, পাঞ্জাব ও দক্ষিণ ভারতে পাওয়া যায়।

বাংলদেশে ও সোনাপাতা গাছ প্রচুর জন্মে। এর বাংলা নাম সোনা পাতা, সোনামুখী। পাতা ঔষধ হিসেবে ব্যবরৃত হয়। ইংরেজী নাম: Senna, Tinnevelly Senna. আর বৈজ্ঞানিক নাম: Cassia angustifolia Vahl. এটি Caesalpiniaceae পরিবারের।আরবি নাম: সোনামাক্কী । সোনা পাতার, ফুল, ফল ও বিচি সবি ব্যবহৃত হয়।





অন্তরের চিকিৎসা পাঁচটি জিনিসের মধ্যে

 অন্তরের চিকিৎসা পাঁচটি জিনিসের মধ্যে: ধ্যানমগ্নতার সাথে কোরআন পাঠ করা। বেশি ভক্ষণ না করা । রাত্রি জাগরন করে কিয়ামুল লাইল আদায় করা । শেষ রাতে (আল্লাহর নিকট) অনুনয় বিনয় করা এবং নেককার লোকদের সাথে বসা।

-ইবরাহিম আল খাওয়াস রহ.

যেমন ছিলেন তাঁরা....

পৃষ্ঠা ১৪৯



ফেরেশতাদের দোয়া

 ফিরিশতাদের দোয়া পাওয়া কতো সহজ!

এভাবে কোনো কষ্ট ছাড়াই ফিরিশতাদের দোয়া পেতে পারি।


আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:


নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জামা’আতের সাথে সালাত আদায় করলে ঘর বা বাজারে সালাত আদায় করার চেয়ে পঁচিশ গুণ সওয়াব বৃদ্ধি পায়। কেননা, তোমাদের কেউ যদি ভাল করে উযূ করে কেবল সালাতের উদ্দেশ্যেই মসজিদে আসে, সে মসজিদে প্রবেশ করা পর্যন্ত যতবার কদম রাখে তার প্রতিটির বিনিময়ে আল্লাহ তা’আলা তার মর্যাদা ক্রমান্বয়ে উন্নীত করবেন এবং তার এক একটি করে গুনাহ মাফ করবেন। আর মসজিদে প্রবেশ করে যতক্ষণ পর্যন্ত সালাতের অপেক্ষায় থাকে, ততক্ষণ তাকে সালাতেই গণ্য করা হয়। আর সালাত শেষে সে যতক্ষণ ঐ স্থানে থাকে ততক্ষণ মালাকগণ (ফেরেশতাগণ) তার জন্যে এ বলে দু’আ করেনঃ হে আল্লাহ! তাকে ক্ষমা করুন, হে আল্লাহ! তাকে রহম করুন- যতক্ষণ সে কাউকে কষ্ট না দেয়, উযূ ভেঙ্গে যাওয়ার কোন কাজ সেখানে না করে। (বুখারী,আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৫৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৩)


সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৪৭৭


حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ صَلاَةُ الْجَمِيعِ تَزِيدُ عَلَى صَلاَتِهِ فِي بَيْتِهِ، وَصَلاَتِهِ فِي سُوقِهِ خَمْسًا وَعِشْرِينَ دَرَجَةً، فَإِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ وَأَتَى الْمَسْجِدَ، لاَ يُرِيدُ إِلاَّ الصَّلاَةَ، لَمْ يَخْطُ خُطْوَةً إِلاَّ رَفَعَهُ اللَّهُ بِهَا دَرَجَةً، وَحَطَّ عَنْهُ خَطِيئَةً، حَتَّى يَدْخُلَ الْمَسْجِدَ، وَإِذَا دَخَلَ الْمَسْجِدَ كَانَ فِي صَلاَةٍ مَا كَانَتْ تَحْبِسُهُ، وَتُصَلِّي ـ يَعْنِي عَلَيْهِ ـ الْمَلاَئِكَةُ مَا دَامَ فِي مَجْلِسِهِ الَّذِي يُصَلِّي فِيهِ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ، اللَّهُمَّ ارْحَمْهُ، مَا لَمْ يُحْدِثْ فِيهِ ‏"‏‏.‏




যাদুকররা যেই সূরার মুকাবেলা করতে অক্ষম


শয়তান এবং যাদুকর যেই সূরার মুকাবেলা করতে ব্যর্থ।


আবূ উসামাহ্ আল বাহিলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ: তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে বলতে শুনেছিঃ তোমরা কুরআন পাঠ কর। কারন ক্বিয়ামাতের দিন তার পাঠকারীর জন্য সে শাফা’আতকারী হিসেবে আসবে। তোমরা দু’টি উজ্জল সূ্রাহ্ অর্থাৎ সূরাহ্ আল বাক্বারাহ্ এবং সূরাহ্ আল ইমরান পড়। ক্বিয়ামতের দিন এ দু’টি সুরাহ্ এমনভাবে আসবে যেন তা দু’ খণ্ড মেঘ অথবা দু’টি ছায়াদানকারী অথবা দু’ ঝাঁক উড়ন্ত পাখি যা তার পাঠকারীর পক্ষ হয়ে কথা বলবে। আর তোমরা সুরাহ্ আল বাক্বারাহ্ পাঠ কর। এ সুরাটিকে গ্রহণ করা বারাকাতের কাজ এবং পরিত্যাগ করা পরিতাপের কাজ। আর বাতিলের অনুসারীগণ এর মোকাবেলা করতে পারে না। হাদীসটির বর্ণনাকারী আবূ মু’আবিয়াহ্ বলেছেন- আমি জানতে পেরেছি যে, বাতিলের অনুসারী বলে যাদুকরদের বলা হয়েছে। (ই.ফা.১৭৪৪, ই.সে.১৭৫১)

সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১৭৫৯


حَدَّثَنِي الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو تَوْبَةَ، - وَهُوَ الرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٍ - حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ، - يَعْنِي ابْنَ سَلاَّمٍ - عَنْ زَيْدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا سَلاَّمٍ، يَقُولُ حَدَّثَنِي أَبُو أُمَامَةَ، الْبَاهِلِيُّ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ اقْرَءُوا الْقُرْآنَ فَإِنَّهُ يَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ شَفِيعًا لأَصْحَابِهِ اقْرَءُوا الزَّهْرَاوَيْنِ الْبَقَرَةَ وَسُورَةَ آلِ عِمْرَانَ فَإِنَّهُمَا تَأْتِيَانِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ كَأَنَّهُمَا غَمَامَتَانِ أَوْ كَأَنَّهُمَا غَيَايَتَانِ أَوْ كَأَنَّهُمَا فِرْقَانِ مِنْ طَيْرٍ صَوَافَّ تُحَاجَّانِ عَنْ أَصْحَابِهِمَا اقْرَءُوا سُورَةَ الْبَقَرَةِ فَإِنَّ أَخْذَهَا بَرَكَةٌ وَتَرْكَهَا حَسْرَةٌ وَلاَ تَسْتَطِيعُهَا الْبَطَلَةُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ مُعَاوِيَةُ بَلَغَنِي أَنَّ الْبَطَلَةَ السَّحَرَةُ ‏.




যে ঘরে সূরাহ্ বাকারাহ তিলাওয়াত করা হয় শায়তান সে ঘর থেকে পালিয়ে যায়।


আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃতোমাদের ঘরসমূহকে ক্ববর সদৃশ করে রেখো না (অর্থাৎ নাফ্‌ল সলাত সমূহ বাড়ীতে আদায় করবে, কারণ যে ঘরে সূরাহ্ বাক্বারাহ্ পাঠ করা হয় শাইত্বান সে ঘর থেকে পালিয়ে যায়)। (ই.ফা. ১৬৯৪, ই.সে. ১৭০১)

সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১৭০৯


حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، - وَهُوَ ابْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقَارِيُّ - عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ لاَ تَجْعَلُوا بُيُوتَكُمْ مَقَابِرَ إِنَّ الشَّيْطَانَ يَنْفِرُ مِنَ الْبَيْتِ الَّذِي تُقْرَأُ فِيهِ سُورَةُ الْبَقَرَةِ ‏"‏ ‏






  



একটি সতর্কতা

 অনেকের বাসায় বিভিন্ন প্রাণির সুপিস থাকে।ঘরবাসী কতো ইবাদত করেন,অথচ এই সুপিস মূর্তিগুলোর কারণে ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না।বড়ো দুঃখজনক ব্যাপার।

আমি রুক‌ইয়াহ করতে কোনো বাসায় গেলে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে এগুলোতে খোঁজে সরানোর ব্যাবস্থা করে তারপর রুক‌ইয়াহ করি।তাই এই বিষয়ে সবাই সতর্ক থাকবেন ইনশাআল্লাহ।




উপকারী একটি ব‌ই

 প্রত্যেকের পড়া উচিত।

ব‌ই:বিপদগ্রস্ত ও রোগীদের প্রতি চিঠি।

লেখক: বদিউজ্জামান সাঈদ নুরসী।


অসুস্থতায় ধৈর্য্য ধরতে পারছেন না?

রোগ ব্যাধী অসহ্য লাগছে?

নিজের অথবা পরিবারে অসুস্থতা লেগেই থাকে?


এই ব‌ইটা পড়েন।


তুরস্কের প্রখ্যাত আলেম বদিউজ্জামান সাঈদ নূরসী লিখিত উপকারী একটি ব‌ই।

ব‌ইটির ৩৯ পৃষ্ঠায় লেখক বলেন:

অসুস্থতাকে তোমার দেহে মুসাফির হিসেবে পাঠানো হয়েছে । ইনশাআল্লাহ দ্রুত দায়িত্ব শেষ করে চলে যাবে এবং বিদায়লগ্নে সুস্থতাকে বলবে "তুমি এখন আসো, আমার পরিবর্তে সর্বদা এখানে অবস্থান করে দায়িত্ব পালন করো।এই দেহ তোমার। এখানে ভালো থাকো।"




ঘর থেকে শয়তান তাড়াতে করণীয়

ঘর থেকে শয়তান তাড়ানোর জন্য।


ঘরে সূরা বাকারা অডিও সাতদিন প্লে করা।

মাগরিবের সময় সাউন্ডবক্সে আজান প্লে করা।

পড়া পানি সব রুমে ছিটিয়ে দেওয়া।

টিভি চালানো যাবে না।

কোন রকম ছবি রাখা যাবে না।


এরপর যখন‌ই ঘরের মধ্যে জিনের সমস্যা বা অস্তিত্ব ফিল করবেন, বা স্বপ্নে কিছু দেখে ভয় পাবে তখন‌ই এই বাকারা, আজান, পানি ছিটানোর আমল কয়েকদিন করে নিবেন।